ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

২৮ বছরে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
২৮ বছরে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত ২৮ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের পাসের হার আড়াই গুণ বেড়েছে।   নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে রোল মডেল।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত নারী দিবসের অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গিতাঞ্জলি সিং। সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদা পারভীন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯০ সালে ৩০ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল। ২০১৯ সালে পাস করেছে ৮৩ শতাংশের বেশি মেয়ে। ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছিল ৩১ শতাংশ মেয়ে। আর ২০১৯ সালে পাস করেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে। ’

ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২০ সালের বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিকের মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে  ৫০ দশমিক ২৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। আর মাদরাসা শিক্ষা পর্যায়ে মোট ৫৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নারী।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট হতে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১২-১৩ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ৯ লাখ ৭১ হাজার, ৮৭৩ জন নারী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি বাবদ ৪৭৬ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা বিতরণ করা হয়।

তিনি বলেন, নারী উন্নয়নে এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল।   উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়, তাই কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সময়োচিত,  সমন্বিত ও বহুমুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়। মহামারি মোকাবিলায় ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে বিভিন্ন সময়ে ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে  প্রায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।   করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ৬৪জেলায় দুঃস্থ নারীদের মাঝে ৪ হাজার সেলাই মেশিন ও ২ হাজার জন দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি মানুষকে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।