ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী পাবে ইন্টারনেটসহ স্মার্টফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী পাবে ইন্টারনেটসহ স্মার্টফোন

ঢাকা: ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন/ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শতভাগ নিশ্চিত এবং ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ/ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছ বলেও জানান তিনি।

উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা বলেন।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনইউ) ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, অনসাইট, অনলাইন ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষা পদ্ধতিকে একত্রিত করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এই নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে। মঙ্গলবার ব্লেন্ডেড শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্সের কাছে ইউজিসি এটি উপস্থাপন করবে।  

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতিতে স্মার্টফোন/ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও সবার শিক্ষায় সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়নতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। এতে ২০২৩ সালের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উন্মুক্ত এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।    

বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীতের পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।