ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ইংরেজি না থাকায় সিলেট বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
ইংরেজি না থাকায় সিলেট বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার! ...

সিলেট: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয় না থাকায় সিলেট বোর্ডে পাসের হার বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিষয় ও সিলেবাস কম থাকা, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৮ মাস দেরিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় পাসের হার বাড়িয়ে দেয়।

উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২০ সালে অটোপাস ব্যতিরেকে বিগত ৬ বছরের তুলনায় সর্বাধিক।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এবার ৩টি বিষয়ে কম্প্রসাইজিং সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যে কারণে ফলাফলে পাসের হার এবার সর্বাধিক।   

এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ইংরেজি বিষয় ছিল না। সেই সঙ্গে ছেলে-মেয়েরা ৮ মাস বেশি সময় পেয়েছে। ফলে ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছে। আর যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর সিলেবাস কম, এমসিকিউ বিজ্ঞানে ছিল ২৫টা থেকে ১২টা, মানবিক ও ব্যবসায় এমসিকিউ ছিল ২৫টা থেকে ১৫টি। সিকিউ ছিল বিজ্ঞানে ৫টা থেকে ২টি। মূলত; প্রশ্নগুলোরও অপশন বেশি ছিল।

ফলাফলে দেখা গেছে, এবার পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এছাড়া পাসের হারে বিজ্ঞান বিভাগকে পেছনে ফেলেছে মানবিক বিভাগ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, মানবিকে ৯৬ দশমিক ১৩ শতাংশ, ব্যবসায় ৯০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।  

বোর্ডের তথ্য মতে, বিগত বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়া হয়। ফলে পাসের হার ছিল শতভাগ।

এছাড়া ২০১৯ সালে ৭৬ হাজার ২৫১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৫১হাজার ১২৪ জন। ওই বছর পাসের হার ছিল ৬৭.০৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে ৭১ হাজার ৪২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে  ৪৪ হাজার ১২৭ জন। সে বছর পাসের হার ছিল ৬২.১১ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৬৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৪৬ হাজার ৭৯৭ জন। গড় পাসের হার ছিল ৭২ শতাংশ। ২০১৬ সালে ৬৩ হাজার ৯৫৯ জনে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৪৩ হাজার ৮৭০ জনে, গড় পাসের হার ছিল ৬৮.৫৯ এবং ২০১৫ সালে ৫৭ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষা দিয়ে ৪৩ হাজার ২৮ জন পাস করেন। ওই বছরে গড় পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।