ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

শাহ-মখদুম মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বাস্তবায়নের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
শাহ-মখদুম মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বাস্তবায়নের দাবি মানববন্ধনে শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী দ্রুত সদ্য বন্ধ ঘোষণা করা রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব আলী নূরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: নতুন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া,  শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর জমাকৃত মূল সনদপত্র ও একাডেমিক কাগজ বিনা শর্তে মাইগ্রেশনকৃত কলেজে পাঠানোর নির্দেশ, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি। একই সঙ্গে তাদের দারির সুস্পষ্ট জবাব না পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং আমরণ অনশনের কর্মসূচিও দিয়েছেন শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীরা।  

শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের মাইগ্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধনে কর্মসূচির আহ্বায়ক মো. রিয়াজুল হাসান ও শাকিলা দিল আফরোজ জানান, বন্ধ ঘোষণা করা শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন এখন অনিশ্চিত। চলতি বছরের ১৪ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রতিনিধি শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনের পর গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অন্য সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের পর এখনও সেই চিঠি আলোর মুখ দেখেনি।

মানববন্ধনে আহ্বায়ক মো. রিয়াজুল হাসান ও শাকিলা দিল আফরোজ আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিঠির পর চিঠি দিলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কেউই সঠিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেয়নি। অথচ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে স্পষ্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের প্রফেশনাল পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। এমতবস্থায় শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সেটা অনিশ্চিত। আমরা শিক্ষার্থীরা বারবার ডিন অফিস, ডিজি অফিস, অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলেও এর সদুত্তর মেলেনি। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী কোনো রকম অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে ভর্তিকৃত (কলেজ অনুমোদন বাতিল, কলেজে শিক্ষক সংকট, একাডেমিক হাসপাতালের অভাবে বাস্তব প্রশিক্ষণের অসুবিধা ইত্যাদি) ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্বাসনে কলেজের জামানত/স্থায়ী আমানত থেকে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে। কোনো কারণে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা সম্ভব না হলে মন্ত্রণালয় অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বদলির জন্য আনুষঙ্গিক খরচ কলেজ স্থাবর/অস্থাবর সম্পতি এবং স্থায়ী আমানত থেকে মিটানোর ব্যবস্থা নেবে। অথচ কলেজ চয়েজ লিস্টের ফলাফল নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে গেলে তাদের কাছে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো অর্থ দাবি করছে ও সুনির্দিষ্ট দিকনিদের্শনা ছাড়া তারা ভর্তি নেবে না বলে জানিয়েছে। এদিকে এসবের সুযোগে শাহ-মখদুম মেডিক্যাল কলেজের মালিক মনিরুজ্জামান স্বাধীন শিক্ষার্থীদের মূল সনদ এবং একাডেমিক কাগজ আটকে রেখে চাইছে মোটা অংকের টাকা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। তাই আমরা এগুলোর সুনির্দিষ্ট সমাধান দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।