ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

শাবিপ্রবি (সিলেট):  আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেমিস্টার ফি ৬০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এতে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

সেমিস্টার ফি কমানো, হল খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, করোনার কারণে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেমিস্টার এবং ক্রেডিট ফি ৬০ শতাংশ মওকুফ করা দরকার। কারণ অনেক শিক্ষার্থী এ সময় সেমিস্টার এবং ক্রেডিট ফি টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না।

ফারহান শাহরিয়ার রাজিন অপর এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা অবশ্যই ভালো দিক।  কিন্তু সেমিস্টার বা ক্রেডিট ফি এর ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত এসেছে তাতে আমরা বিপদে পড়ে গিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারের খরচের পাশাপাশি দুইমাসের থাকা খাওয়াসহ পরীক্ষা ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার টাকা দেওয়া আমার মত অনেকের পক্ষে সম্ভব না। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ’

সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যখন ক্যাম্পাস খুলবে তখন আমরা এর সমাধান করবো। আমি চাইলে একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাই সিন্ডিকেট ও একডেমিক কাউন্সিলের আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবাসিক হল খোলার ব্যাপারে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি হল খুলতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলে আমরা হল খুলে দিতে পারি। অন্যথায় এর দায়ভার আমাদের বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত করতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে বের হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করুক। শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে করোনায় আটকে থাকা বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা  দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন ঘণ্টার পরীক্ষাগুলো দুই ঘণ্টা ও দুই ঘণ্টার পরীক্ষাগুলোকে এক ঘণ্টার মধ্যে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।