ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ফেনীতে পিইসিতে শতকরা পাসের হার ৯৭.৬৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
ফেনীতে পিইসিতে শতকরা পাসের হার ৯৭.৬৯

ফেনী: এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় ফেনী জেলা থেকে ২৩ হাজার ৬৫৯ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। শতকরা পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৬৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৩ জন ও জিপিএ-৪ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৩ জন।

অন্যদিকে ইবতেদায়িতে ৭ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭ হাজার ১০৭ জন পরীক্ষার্থী। জেলায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫৭ জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, পিইসিতে পাশের হারে জেলার শীর্ষে রয়েছে সোনাগাজী। এ উপজেলা থেকে ৪ হাজার ১১৯ জন পরীক্ষার্থী এবারের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪ হাজার ৮৫ জন।

পাসের হারে জেলায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দাগণভূঞা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৪ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪ হাজার ৩৩১ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী।

পাসের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৬৯৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৬৬৯ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৪ জন শিক্ষার্থী।

পাসের হারে এরপরেই রয়েছে ফেনী সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৮ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮ হাজার ৫৫৩ জন। পাসের হার শতকরা ৯৬ দশমিক ৯৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী।

পাসের হারে সবার নিচে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৮৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৭৮২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে ইবতেদায়িতে জেলা থেকে ৭ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ৭ হাজার ১০৭ জন। জেলায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী।

ইবতেদায়িতে পাসের হারের ভিত্তিতে জেলায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৪৩৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৩৭ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫৪ শতাংষ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থী।

এরপরে রয়েছে সোনাগাজী উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ২৯৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে। ১ হাজার ২৭৭ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন শিক্ষার্থী।

পাসের হারে এরপর রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ১৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ১৬২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬ জন।

পাসের হারে চতুর্থ স্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪৩১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৩৬৯ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন পরীক্ষার্থী।

পাসের হারে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফেনী সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ২ হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২ হাজার ৩৯২ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৫ জন।

পাসের হারে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ উপজেলা থেকে ৫৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৭০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন পরীক্ষার্থী।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ফলাফল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বাড়াতে জেলা প্রশাসনের তদারকি ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রচেষ্টার ফলে এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসএইচডি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।