ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিবিসি-এর জরিপে বিশ্বের পারফেক্ট সিটি ও ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর চন্ডীগড়। আর এই শহরে বসবাসের সঙ্গে হয়ে যেতে পারে নিজের উচ্চ শিক্ষাটাও। শুধু দক্ষিণ ভারত নয়, এখন উত্তর ভারতও বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অন্যতম পছন্দের জায়গা।

আর এক্ষেত্রে বড় আকর্ষণ চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যে এখানে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মেধাবৃত্তি।

এখানে পড়াশোনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আর্ন্তজাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করা যায়।  

শুধু কাগজ আর কলমের পড়াশোনা নয়, চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় রয়েছে মাইক্রোসফট, হুন্দাই বা ভিডিওকনের মতো আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। এখানকার শিক্ষার্থীরা এখন এই ধরনের ৪৫৭টি বহুজাতিক কোম্পানিতে দক্ষতার সঙ্গে চাকরি করছেন।
 
ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চন্ডীগড়ের র‌্যাংকিং এখন ৩ এ। বৈশ্বিক ইন্ড্রাস্টিতে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০০ একর জমির উপর এই হাইটেক ইউনিভার্সিটি। আর এরই মধ্যে চন্ডীগড়কেও ভারত সরকার আইটি শহর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৩৬টি দেশের ১ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী বৈশ্বিক পরিবেশে যেমন শিক্ষা নিচ্ছেন, তেমনি নিজেদের সংস্কৃতির আদান-প্রদানও করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ৩০টি শিল্প রয়েছে; যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।  

গবেষণাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।  ছবি: সংগৃহীত এখানে রয়েছে সবমিলিয়ে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী। আর ক্যাম্পাসেই আবাসন সুবিধা রয়েছে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর। আর আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে আলাদা ভর্তি বিভাগ। আরও বৃহত্তর পরিসরে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রয়েছে অংশীদারিত্ব।

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ, অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি, দ্য আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি এবং ইন্দো-ইউএস কোলাবোরেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশনের সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়টি।  

এছাড়া অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি, বার কাউন্সিল, ফার্মেসি কাউন্সিল, কাউন্সিল অব আর্কিটেকচার, কম্পিউটার সোসাইটির সদস্যও এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ভর্তি সংক্রান্ত ব্যবস্থাপক কারানজিৎ সিং কথা বলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে।  

তিনি বলেন, আমাদের এখানে শিক্ষার্থীদের জন্যে কারিকুলাম তৈরি করা হয় গবেষণার মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থীদের শুধু কারিকুলাম শিক্ষা নয়, একই সঙ্গে ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করার জন্যে আচরণ, আর্ন্তজাতিক যোগাযোগের শিক্ষাও দেওয়া হয়। প্রজেক্ট বেজড এক্সপেরিমেন্টাল লার্নিং ছাড়াও সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট ইভালুয়েশন সিস্টেম রয়েছে।

কারানজিৎ সিং বলেন, আগে দক্ষিণ ভারতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়তে যেতেন। তবে সেখানে পরিবেশ বা সংস্কৃতির সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে বাংলাদেশের। অনেকেই মানিয়ে চলতে পারেন না। তবে উত্তর ভারতে সেই সমস্যা নেই। আবহাওয়া ও পরিবেশ বাংলাদেশের মতো হলেও পড়াশোনার আবহটা ঠিকই মাল্টি কারচারাল।

যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রথম অনুষদ প্রকৌশলী, তাই এ বিভাগটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে অন্য সকল বিষয়গুলোও এখন সমান জনপ্রিয়। এখান থেকে মাইক্রোসফট, আইবিএম, হুন্দাই, হেওলেট প্যাকার্ড, ভিডিওকন, আইএইচজি, টেক মাহিন্দ্রা, কক্স অ্যান্ড কিংস, তাজ হোটেলস রিসোর্টস অ্যান্ড প্যালেসেস, অ্যালেলি লাইফ সায়েন্সেস, আইসিআইসিআই ডাইরেক্ট, নাসকোম, হেলিওস ফার্মাসিউটিক্যালস, লাইগের ওরাকলসহ অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্ড্রাস্টিতে হাতে কলমে শিক্ষার্থীরা কাজ শিখতে পারেন বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে আর্ন্তজাতিক মানের শিক্ষার একটি বড় মানদণ্ড গবেষণা। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ১ হাজার ৮০০ গবেষণা এবং ৬০ এর বেশি পেটেন্ট। ৩০টিরও বেশি ইন্ড্রাস্ট্রি স্পন্সরড ল্যাবসের সঙ্গে ৫০টি ডিপার্টমেন্টাল রিসার্চ গ্রুপ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির হয়ে বাংলাদেশে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে ফেইথ ওভারসিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, এখানে প্রকৌশলী, ইন্ড্রাস্ট্রি কোলাবেরিটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামস, ম্যানেজমেন্ট, ইন্ড্রাস্ট্রি কোলাভেরিটিভ কোর্স, কমার্স, কম্পিউটিং, ট্যুরিজম অ্যান্ড কসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার, অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস, বায়ো টেকনোলজি, বেসিক সায়েন্স, এগ্রিকালচার সায়েন্স, লিগ্যাল স্টাডিজ, মিডিয়া স্টাডিজ, অ্যানিমেশন, ফিল্ম স্টাডিজ অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল আর্টস, লিবারেল আর্টস, ল্যাংগুয়েজ ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম, ডিপ্লোমা অনুষদের অধীনে ৮০টি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা স্নাতকে ভর্তি হতে পারছেন।

তিনি বলেন, এখানে পড়াশোনার খরচ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় কম হবে ও পরিবেশটি হবে বিশ্বমানের।  

ফেইথ ওভারসিজের মাধ্যমে চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ-খবর জানা যাবে ০১৬১৩১৪১৬০২, ০১৬১৩১৪১৬০৮ অথবা ০১৬১৩১৪১৬০৫ নম্বরে ফোন করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএন/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।