ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ভিকারুননিসা

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা ভিকারুননিসা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: মাঠের মাঝখানে একদল হাত তুলে বিজয় চিহ্ন ‘ভি’ দেখিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা, তো আরেক দল বিভিন্ন রকম বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মেতেছে আনন্দ-নৃত্যে। কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়ায় বইছে আনন্দের ঢেউ। মাঠ যেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মিলনমেলা। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক- কেউ বাদ নেই এই উচ্ছ্বাসের কাতারে। 

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর এমনই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসেছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ফল প্রকাশের পর স্কুলের মাঠে গিয়ে অনেককে বেশ আপ্লুতও দেখা যায়।

মা-বাবার সঙ্গে গলাগলি করে অশ্রুসিক্ত হতে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীকে।
 
সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। ফলাফল হস্তান্তরের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা এই স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। নোটিশ বোর্ডে ফলাফল দিতে দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী-অভিভাবকই ফোন বা ওয়েবসাইটে রেজাল্ট বের করে আনন্দে মেতে ওঠেন।

আড়াইটার দিকে পিইসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল স্কুলের নোটিশ বোর্ডে সাঁটানোর পর আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে। যদিও এখনো দেওয়া হয়নি জেএসসির রেজাল্ট।

পিইসির ফল জানার পর থেকে হই-হুল্লোড়, আনন্দ-নৃত্য আর উল্লাস শুরু হয়ে যায় স্কুলটির মাঠে। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাঠে জড়ো হয়ে একসঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নাচ-গানে মেতে ওঠে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস।  ছবি: ডিএইচ বাদল
তাদের এই সাফল্য আর আনন্দ-উল্লাসে শিক্ষক-অভিভাবকদের মুখেও ফুটে ওঠে তৃপ্তির হাসি।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নাদিয়া বাংলানিউজকে বলে, ভাবতেই অনেক ভালো লাগছে যে আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি। আজ সবাই মিলে অনেক আনন্দ করবো।

জিপিএ-৫ পাওয়া পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরোজা জান্নাত বাংলানিউজকে বলে, মা-বাবা ও টিচারদের দোয়া ও সাহায্যে আজ ভালো রেজাল্ট করেছি। রেজাল্ট দিতে দেরি হওয়ায় ভয় পাচ্ছিলাম। এখন রেজাল্ট পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

পিইসির ফল ঘোষণার পরপরই স্কুলের সিনিয়র মাঠে প্রকাশ করার কথা ছিল জেএসসি পরীক্ষার ফল। কিন্তু এ ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী নিজে নিজেই ফোনে বা অন্য মাধ্যমে জেনে নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে।

উচ্ছ্বাস-উল্লাসে মত্ত একাধিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলে, পরীক্ষার আগে অনেক কষ্ট করেছি। এখন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। এই ভালো ফলাফলে অর্জন করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছেন মা-বাবা এবং শিক্ষকরা। এই ফলাফলে আমরা যেমন খুশি, তেমনি আমাদের মা-বাবা ও শিক্ষকরাও অনেক খুশি।

জেএসসি ফলপ্রাপ্ত রিদিকা বাংলানিউজকে বলে, অনেক আনন্দ লাগছে। বাবা-মা ও শিক্ষকের অবদান অনেক বেশি। তাদের কারণেই জিপিএ-৫ পেয়েছি।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এক শিক্ষার্থীর মা তাজরিন আলম বাংলানিউজকে বলেন, কাল রাত থেকে ঘুমাতে পারিনি মেয়ের রেজাল্টের টেনশনে। মেয়ে ভালো রেজাল্ট করায় কতোটা আনন্দিত আমি, তা বলে বোঝাতে পারবো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।