ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীর সামনে চ্যালেঞ্জ মানোন্নয়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
শিক্ষামন্ত্রীর সামনে চ্যালেঞ্জ মানোন্নয়ন জেএসসি-জেডিসি’র ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী

সব সূচকেই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) ফলাফল ইতিবাচক হলেও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ পড়ালেখার মানোন্নয়ন করা, বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ঢাকা: সব সূচকেই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটের (জেডিসি) ফলাফল ইতিবাচক হলেও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ পড়ালেখার মানোন্নয়ন করা, বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

জেএসসি-জেডিসিতে এবার ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। গত বছর এই পরীক্ষায় ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলো। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩ জন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব সূচকেই ইতিবাচক ফল দেখা যাচ্ছে। তারপরও আমরা সন্তুষ্টির কথা বলছি না। অবশ্যই আমরা খুশি হয়েছি, দেশবাসী খুশি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হবো।

“আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক-উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করা”।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার মান বেড়েছে কিন্তু বিশ্ব মানে সমতা অর্জন করতে বর্তমান যুগে আমাদের চাহিদা অনুসারে যে মান দরকার- তার থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।

সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ মানোন্নয়ন করা। সেজন্য মানসম্মত নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক দরকার, সে চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি।

প্রশ্ন ফাঁসের নামে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ৫ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায় ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্ন দিয়ে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিলো। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, বস্তিবাসী আছে, নদী ভাঙনের কারণে অনেকে চলে যায়...। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবো।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ফাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এমএন/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।