ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও উচ্চস্তরে নিতে সরকার সচেষ্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও উচ্চস্তরে নিতে সরকার সচেষ্ট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কিভাবে উঁচুস্তরে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারীদের মতো গত ১ জুলাই থেকে নতুন ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে বেতন-ভাতাদি ঘোষণার পর উচ্চস্তরের শিক্ষকদের ব্যাপারে একথা জানান মন্ত্রী।

 
 
রোববার (২০ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানায়, ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান-সহায়তা নতুন বেতন স্কেলে কার্যকর হবে।
 
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর মর্যাদা এবং বেতন বৈষম্যের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন।
 
গত ১৫ ডিসেম্বর অষ্টম পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ করে সরকার, তাতে শিক্ষকদের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
 
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন তার কোনো ব্যতয় হবে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ১ জুলাই থেকে সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উঁচুস্তরে দেওয়া, বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষকদের উঁচুস্তরে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনা অব্যাহত রয়েছে, কী করে সেই জায়গায় নেওয়া যায়, ইনশাল্লাহ হবে, এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। সমাধান বের করতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী ও সরকার শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
 
নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পাঠিয়েছি, যেটুকু বাকি আছে চলে যাবে। ১ জানুয়ারি ছুটির দিন হওয়ায় ২ জানুয়ারি বই উৎসব করবো।
 
বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কিছু বিপদগামী সৈনিক হত্যা করেছিল বলে যে কথা, কথাটা সঠিক নয়। পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে, যাতে স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জন করতে না পারি, সেজন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাস্তবে তাই হয়েছিল, তিন দশক আমরা পশ্চাৎপদ ছিলাম।
 
জামায়াতকে আপদমস্তক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমাদের পরাজিত করার চেষ্টা করেছিল।
 
মন্ত্রী বলেন, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিলেন বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কী হবে, এটা হবে দারিদ্র্যের উদাহরণ, সেই দেশের মাটিতে বসে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ।
 
আজকে বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং অন্যান্য দিক দিয়ে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিপ্লব হতে যাচ্ছে এবং চলছে, বলেন মন্ত্রী।
 
নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিজয়ের অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়িত্ব শিক্ষা পরিবারের।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ফাহিমা খাতুন।
 
জঙ্গিবাদ রুখতে শিক্ষা দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের যেন উত্থান না ঘটে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র নিয়ে আসতে পারি সেটাই উদ্দেশ্য হবে।  
 
শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইমতিয়াজ আলী এবং মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
 
পরে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং শিল্পীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।