ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘ক্রাশ’ প্রোগ্রামে সহায়তা করবেন অধ্যক্ষরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪
‘ক্রাশ’ প্রোগ্রামে সহায়তা করবেন অধ্যক্ষরা

ঢাকা: সেশনজট নিরসন করতে ‘ক্রাশ’ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহায়তা করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ধানমণ্ডিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।



মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। এসময় ঢাকা মহানগরীর ২০টি সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজগুলোকে আগের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এর পরই সংবাদ সম্মেলন ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতমিনিময় করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ সম্মান পরীক্ষা, ডিগ্রি পাস কোর্স এবং প্রিলিমিনারি ও মাস্টার্সে এই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে।

অধ্যনয়রত শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের প্রক্রিয়াই হচ্ছে ‘ক্রাশ’ প্রোগ্রাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ২০১৫, ২০১৬ এ দুবছর আমাদের এ ক্রাশ প্রোগ্রাম সফল করতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ছুটির দিনেও পরীক্ষা‍সহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া আবশ্যক।

এ জন্য শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

সভায় সেশনজট নিরসনে গৃহীত ক্রাশ প্রোগ্রাম মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন উপ-উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর।

সভায় ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, হাজী আব্দুল মালেক ইসলামিয়া কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা উইমেনস কলেজ, মোহম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ এবং লালমাটিয়া মহিলা মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বক্তব্য দেন।

শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত ক্রাশ প্রোগ্রাম সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা।

সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আসলাম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন, কলেজ পরিদর্শক শামসুদ্দিন ইলিয়াস, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমাতে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে একক পরীক্ষক পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।