ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

দু’একদিনের মধ্যে পৌঁছাবে শতভাগ বই

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪
দু’একদিনের মধ্যে পৌঁছাবে শতভাগ বই ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সরকারের বিনামূল্যে সরবরাহের জন্য মাধ্যমিক স্তরের শতভাগ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছালেও প্রাথমিকের সব বই পৌঁছেনি।

আগামী দু’একদিনের মধ্যে সব উপজেলায় বই গেলেও স্কুল পর্যায়ে বই যেতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।

এর ফলে ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসবের দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই দেওয়া সম্ভব হবে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে ১ থেকে ২ শতাংশ বই পাঠানো বাকি থাকলেও দু’একদিনের মধ্যেই তা পাঠানো সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে বাকি ১০ শতাংশও ১ জানুয়ারির আগেই পৌঁছে যাবে।

এনসিটিব’র চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ১-২ শতাংশ বই পৌঁছাতে বাকি আছে। কাল-পরশুর মধ্যে সব উপজেলায় বই পৌঁছে যাবে।

এবার চার কোটি ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার বই ছাপানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ৫০ নম্বরের নবম শ্রেণির জন্য ‘ক্যারিয়ার শিক্ষা’ বইটি আবশ্যিক হিসেবে রয়েছে।

শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বই উৎসব উদযাপন করবে।

এবার ভারতের একটিসহ মোট ২১টি লটে ২৩৮টি প্রতিষ্ঠান বই ছাপানোর কাজ করেছে। এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ভারত থেকে ওই লটের এক কোটি ১৯ লাখ বইও এসেছে।

বই ছাপানোসহ থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর জন্য টেন্ডার করা হয় বলে জানিয়েছে এনসিটিবি।

এনসিটিবির ১০টি মনিটরিং টিম ও সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বই পাঠানোর অনুমতি মেলে।

থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বই পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়গুলো বই নিয়ে যায়।

গত জুন থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আরো বলেন, ৫/৬ মাস যেন ভালভাবে বই সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য পেস্টিসাইড, ফরমালিনের খরচও দেওয়া হয়।

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকের বই সময়মতো পৌঁছাতে পারলেও প্রাক-প্রাথমিকের বই একটু কঠিন হয়ে যাবে।

প্রাক-প্রাথমিকের বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই স্তরে ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তাই বই পৌঁছাতে একটু সময় বেশি লাগলেও ঝামেলা হবে না। এরপরও কমিটি ১ জানুয়ারির মধ্যেই সব বই পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার ১ নম্বর খোড়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই আগামী ২৭ ডিসেম্বর শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়া হবে বলে ওই বিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ একটু এদিক ওদিক হতে পারে, তবে আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।