ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

মেধাবীদের পুরস্কৃত করলো আইসিএবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪
মেধাবীদের পুরস্কৃত করলো আইসিএবি ছবি: জনি / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জেএসসি, এসএসসি, ও-লেভেল, এইচএসসি এবং এ-লেভেলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করলো দি ইন্সস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস বাংলাদেশ (আইসিএবি)। পুরস্কারপ্রাপ্তরা সবাই আইসিএবি’র সদস্য ও কর্মকর্তাদের সন্তান।


 
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আইসিএবি অটিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেধাবীদের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
 
অনুষ্ঠানে মোট ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়। যাদের মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ১১ জন, এইচএসসিতে ৬ জন, এ-লেভেলে ৪ জন, ও-লেভেলে ৪ জন এবং জেএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ৭ জনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 
পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে- জেএসসি-২০১৩ ভালো ফল করায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও ২০ হাজার। এসএসসি-২০১৪ শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার। ও-লেভেলের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ২৫ হাজার, এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ৩০ হাজার এবং এ-লেভেলে শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
 
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট শওকত হোসেন, দেওয়ান নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
 
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, মেধাবীদের পুরস্কৃত করতে পেরে আমি খুবেই আনন্দিত। এখানে আসার আগে আমি চিন্তা করেছিলাম তাদের উৎসাহিত করবো। কিন্তু এখানে এসে দেখি তারা আমার চেয়েও ভালো ফল করেছে। তাই তাদের কাছ থেকে আমি নিজেই উৎসাহিত হয়েছি।
 
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষ সব বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠছে। ফলে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। আজ যদি টোকিও, সিউল, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডনে একজন শিশু জন্মগ্রহণ করে তবে বলা যায় সে পরবর্তী একশ বছর বাঁচবে। কারণ মানুষের জীবনযাত্রা এতো উন্নত হচ্ছে। আমারাও পিছিয়ে নেই। বুদ্ধিমত্তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
 
এ সময় মন্ত্রী শিশুদের মেশিনের ওপর নির্ভরশীল না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনারা (অভিভাবক) আপনাদের সন্তানদের মেশিনের ওপর নির্ভরশীল করবেন না। তাদের লেখাপড়ার দিকে খেয়াল রাখবেন। বাবা-মা যদি তার সন্তানদের প্রতি সঠিকভাবে নজর রাখেন তবে আমরা একদিন গড় আয়ু একশ বছর অর্জন করতে পারবো।
 
মন্ত্রী আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চীন ও ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। কিন্তু আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ অতিক্রম করবে। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
 
মন্ত্রী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সভাপতি, কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি আগে অনেক খেলা করতাম। তবে আজ অনেকে খেলা পছন্দ করে না। আইসিসি’র সভাপতি হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্নয়নে আমি যে সব কাজ করেছি ভবিষ্যতে আমার রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে কি-না তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
 
তিনি আরো বলেন, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিশু স্কুলে যায়। ভবিষ্যতে কৃষক, শ্রমিক সবাই শিক্ষিত হবে। ফলে ২০২১ সালের আগেই আমরা মধ্যম আয়ে দেশে পরিণত হব। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো। অন্যদিকে, ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্যতম।
 
এ সময় চীনের সাফল্য উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীন ও জাপানের উত্থান খুব বেশিদিনের নয়। চাইলেই দেশকে উন্নত করা যায়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো। আর সে স্বপ্ন পূরণ করবে আজকের মেধাবী এসব শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের বাবা-মাকে শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।