ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উপজেলা পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪
উপজেলা পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছেছে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম / ফাইল ফটো

ঢাকা: ক’দিন বাদেই সারাদেশে একযোগে ‘বই উৎসব’ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে ব্যাপক তৎপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
 
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. আবুল কালাম, আলী আজম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, উম্মে রাজিয়া কাজল প্রমুখ।
 
বৈঠক শেষে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশও ১ জানুয়ারির আগে পৌঁছে যাবে।
 
তিনি বলেন, প্রাথমিকের বই সময়মতো পৌঁছাতে পারলেও প্রাক-প্রাথমিকের বই পৌঁছাতে কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের ভর্তি শুরু হয় ১ জানুয়ারি, চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তাই এসব খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে একটু সময় লাগলেও ঝামেলা হবে না। তারপরও ১ জানুয়ারির মধ্যেই সব বই পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিটি।
 
এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও ৩১ ডিসেম্বর ‘বই উৎসব’ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে এক সেট বই তুলে দিয়ে এ ‘বই উৎসব’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।   এবারও তাই হবে।
 
অপরদিকে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় (১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায়) বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা দিতে দাতা পাওয়া না গেলে, সরকার কর্তৃক জায়গা অধিগ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
 
এছাড়া নতুন জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকরা এখন পর্যন্ত বেতন পাননি, অবিলম্বে তাদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
 
জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের বেতন প্রসঙ্গে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে ৯০/৯২ হাজার শিক্ষকের বেতন দেওয়া হয়েছে। বাকি যে ১০/১২ হাজার শিক্ষক আছেন তারা যেন জানুয়ারির মধ্যে বেতন পান সে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয়করণ হওয়া এসব শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম ফেইজের সবাই বেতন পেয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফেইজের শিক্ষকদের নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কারো কারো তথ্যে গরমিল রয়েছে, যে কারণে তদন্ত করে বেতন দিতে একটু দেরি হচ্ছে।
 
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।