ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

পাবনায় আল-হেরার অধ্যক্ষসহ গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
পাবনায় আল-হেরার অধ্যক্ষসহ গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পাবনা: পাবনা বেড়া উপজেলায় আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি ও ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

শনিবার (১০ জুন)  দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব হল রুমে এসব অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইংরেজির সহকারী শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন ও গণিতের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তারা বলেন, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. হাকিমুল কবির ও আল ইসলাম ট্রাস্ট কর্তৃক গঠিত ভুয়া গভর্নিং বডির সভাপতি এ. কে. এম রফিকুন্নবীর সীমাহীন অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা সময়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলাতে জোরপূর্বক মৌখিকভাবে চারজন শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন, ভাতাসহ পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর দীর্ঘদিন ধরে এই বেতন-ভাতা বন্ধ থাকার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বেশ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তারা আরও বলেন, প্রতিকার চেয়ে এই ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন। তবু কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না এই ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। বর্তমান অধ্যক্ষ মো. হাকিমুল কবির ও প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গভর্নিং বডি ও ট্রাস্টি কমির সভাপতির অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই। একইসঙ্গে মৌখিকভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষকদের নিজ পদে বহালের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বর্তমান অধ্যক্ষ একাডেমির ফান্ডে থাকা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।  

তারা আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি নিজেদের অবৈধ স্বার্থ রক্ষার্থে শিক্ষকদের নানা দিক দিয়ে নির্যাতন করছেন। শিক্ষকদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বেশ কয়েকজন শিক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ক্লাস বন্ধ, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে না দিয়ে তাদের বেতনভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন।

শিক্ষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক তিন বিভাগের একজনই দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ম অনুসারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য দুইজন প্রধান শিক্ষক ও কলেজের জন্য একজন অধ্যক্ষ থাকার কথা। কিন্তু আল-হেরায় একজনই সব দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের নামে জমি রেজিস্ট্রেশন না করে ভুয়া ট্রাস্টিবোর্ড আল ইসলাম ট্রাস্ট নামে জমি কিনেছে। যা নিয়ম অনুসারে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বৈধ নয়। পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি না করে অধ্যক্ষ অর্থের বিনিময়ে গোপনে শিক্ষার্থী ভর্তি করে অর্থ নিয়ে থাকেন।

১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয় আল-হেরা একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১৯৯০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।