ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বেতন স্কেল উন্নীতকরণসহ প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
বেতন স্কেল উন্নীতকরণসহ প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল আপগ্রেড (উন্নীত) করা, অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন ও পদোন্নতিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (২৬ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সমিতির সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবী সংগঠন। ১৯৭৩ সালে এই সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৭ হাজার ৬৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। এজন্য আমরা জাতির পিতা ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও ১০ম গ্রেড বিভিন্ন জটিলতায় এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল আপগ্রেড করা এবং মর্যাদা বাড়ানো প্রয়োজন।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকদের এবং ২০০৯ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ আছে। তাই অতি শিগগিরই ২০১৯ এর নিয়োগবিধি বাতিল পূর্বক নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষকের পদোন্নতির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।  

২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া, প্রধান শিক্ষকদের বকেয়া টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন করা, নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করা, সহজ শর্তে সুদবিহীন গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়া, রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, টিফিন ভাতা প্রতিদিন ন্যূনতম ২০০ (দুইশ টাকা) দেওয়া, সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতিতে বয়সের বাধ্যবাধকতা রহিত করা প্রয়োজন।

শিক্ষকরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে ৯ম পে-কমিশন গঠন, অন্তর্বর্তীকালীন ৩০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, ২০ গ্রেড পরিবর্তন করে ১০ গ্রেড বেতন স্কেল নির্ধারণ করা, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করার আবেদন জানাচ্ছি আমরা। যেহেতু দপ্তরি কাম প্রহরীরা সার্বক্ষণিক বিদ্যালয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন, সেহেতু তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ারও অনুরোধ করছি।  

তারা বলেন, দাবিসমূহ যাতে সংসদে তোলা হয়, সেক্ষেত্রে আগামী ২৭ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতারা সব সংসদ সদস্যের কাছে দাবি পেশ করবেন। আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দাবিসমূহের কোনো অগ্রগতি না হলে পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আবুল কাসেম। এ সময় সমিতির অন্যান্য নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এইচএমএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।