ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

মধ্যরাতে জাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
মধ্যরাতে জাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, আটক ২ আটক দুই অভিযুক্ত রাকিব ও মেজবাহ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকার একটি বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  

পরে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- মো. রাকিব হোসেন (২৮) ও মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (২৮)। রাকিবের বাড়ি ঢাকায়। তার বাবার নাম মো. শাজাহান মিয়া। আর মেজবাহ উদ্দিনের তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তার বাবার নাম মো. মোফাজ্জেল হোসেন খান।

প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তরা ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন।

দুজন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা খন্দকার।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হবে। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের শাস্তি দেবে।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব ও মেজবাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশুর অতিথি। মিশুর মাধ্যমে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে রোববার (১৪ মে) রাতে মিশুসহ অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই দিন মিশু ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করেন। সেইসময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় অবস্থান করছিলেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সেই সুযোগে ধর্ষণচেষ্টা করে।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ওরা (অভিযুক্তরা) আমার ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়ের বন্ধু। তার মাধ্যমে আমার তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা ও আলাপচারিতার মাধ্যমে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। গত শুক্রবার তারা মিশু ভাইসহ আমার বাড়িতে থাকে। রোববার মিশু ভাই ক্যাম্পাসে ছিলেন না। তারা রান্না করে আমার সঙ্গে খেতে চেয়েছিলো জানালে আমি তাদের আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রান্নার অর্ধেক সময় আমি অসুস্থার কারণে রেস্ট নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার ঘুম ভাঙার পর দেখি একজন (রাকিব) আমার শরীরে উপর আপত্তিকর অবস্থায় আছে। আমি পরে সেখান থেকে উঠে গিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে দেখি অন্যজন (মেজবাহ) খুবই চিন্তিত অবস্থায় বসে আছে। আমি তাদের দুজনকে আমার বাসা থেকে বের করে দিয়ে গেটের সামনে আটকে রাখি এবং আমার বন্ধুদের ফোন দেই। তারা তাদের (অভিযুক্তদের) ধরে নিয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার খবর শুনতে পেয়ে আমি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে তিই। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।