ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে মূল্যস্ফীতি ছাড়াল সাড়ে ৭ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
দেশে মূল্যস্ফীতি ছাড়াল সাড়ে ৭ শতাংশ

ঢাকা : জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে দেশে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে। আর খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়েই সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে মানুষ। আবার শহরাঞ্চল ও গ্রামের মানুষের মধ্যে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি গ্রামাঞ্চলে। কারণ,শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি।

সদ্য প্রকাশিত বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে। আর একই সময়ে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

গ্রামাঞ্চলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে প্রায় ৯ শতাংশে। জুন শেষে গ্রামে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে এ হার ৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্য পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে চলায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এছাড়া যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেভাবে শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে না।

সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। তাদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে দারিদ্রসীমা কিছুটা ওপরে থাকা অনেক মানুষের আবার গরিব হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বিবিএস মূল্যস্ফীতির যে হিসাব দিচ্ছে, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি তার চেয়ে বেশি বলে মনে করছেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ সময় : ১৬২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯,২০২২
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।