ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম বেড়েছে গরুর মাংস-মুরগি-ডিম-পেঁয়াজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
দাম বেড়েছে গরুর মাংস-মুরগি-ডিম-পেঁয়াজের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে গরুর মাংস, মুরগি, ডিম ও পেঁয়াজের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বেগুন(লম্বা) ৪০, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০, পাতাকপি ৪০, করলা ৮০, গাজর প্রতি কেজি ৪০, চাল কুমড়া পিস ৪০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৬০, মুলা ৪০, শালগম ৪০, কচুর লতি ৬০, পেঁপের কেজি ৪০, বটবটির কেজি ‌১২০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

এ সব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা।  

দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।  

ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কেজি ছিল ৫৫ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি ও উৎপাদন কম থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।  

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।  

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও কম হচ্ছে। এ কারণে আমাদের লাভও কম হচ্ছে।  

এছাড়া বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা সাব্বির বলেন, উৎপাদন কম থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার দাম আরও বেশি ছিল। আজ দাম একটু কমে এই দামে বিক্রি হচ্ছে।  


বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা। গত সপ্তাহে মাংস বিক্রি হয়েছিল ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি।  

১১ নম্বর বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো. সিদ্দীক বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে গাবতলী হাট থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে গরু। এ কারণে গরুর মাংস বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ। মেরাজ উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম আবারও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এমএমআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।