ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এবারের বাণিজ্য মেলা যেন আনন্দ মেলা: গাজী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এবারের বাণিজ্য মেলা যেন আনন্দ মেলা: গাজী

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের এমপি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, আমরা ধারণা করছিলাম মেলা হবে কি না, কারণ রাস্তার কাজ চলছে। চারিদিকে কাজ, কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত।

দেড় দুই বছরের মধ্যে এখানে এক্সপ্রেস রোড হবে। কাজের মহাযজ্ঞ চলছে। আমি টিপু ভাইকে বলেছিলাম, মেলা হবে। কারণ করোনার পরে বিনোদনমূলক কোনো আয়োজন এটাই প্রথম। আমি এর আগে আরও দুই দিন এসেছি। এসে দেখলাম এখানে এত এত লোক। এখানে ঘোরাঘুরি ও বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গাও রাখা হয়েছে। একদিকে বাণিজ্য মেলা আরেক দিকে আনন্দ মেলা। বাচ্চাদের নিয়ে যারা মেলায় এসেছেন বাচ্চাদের আনন্দ মেলা হচ্ছে সেখানে। আমি দেখেছি মায়েরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

গাজী বলেন, আজকে আমারা যে মেলাটা করছি এটার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বঙ্গবন্ধুর। বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক বৈষম্য এত ছিল যে বাঙালিরা কোনো ব্যবসায়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত না। কারণ দেশে বাণিজ্য থাকলে বাঙালিরা আমরা ব্যবসা করতে পারব চাকরিও করতে পারব। ছয় দফার সময় আমরা ছাত্র ছিলাম টিপু ভাইও ছাত্র ছিল। আমরা তখন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা নিয়ে দেশে ফিরেছি। বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে। তিনি আমাদের মাঝে আসলেন। এসে অর্থনৈতিক মন্দা ঘোচাতে দেশীয় কাচামালের পণ্য তৈরির ডাক দিয়েছিলেন। আমরা তখন সেভাবে ব্যবসা বাণিজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের মাঝে এলেন। তিনি কীভাবে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করবেন মাথায় রাখলেন।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পকে তিনি যে রকমের প্রণোদনা দিয়েছিলেন, আমরা অনেকে মনে করেছিলাম গার্মেন্টস চালু করলে করোনা বেড়ে যাবে। কিন্তু আজকে তার ফল কী। গার্মেন্টস শিল্প যে দুরবস্থার দিকে যাচ্ছিল তার থেকে মুক্তি পেয়ে আজকে সারা বিশ্বের সমস্ত অর্ডার বাংলাদেশে চলে এসেছে। কারণ তিনি প্রণোদনা দিয়েছিলেন। এই উপকারগুলো আমরা জানি কীভাবে বঙ্গবন্ধু কন্য আমাদের খেয়াল রেখেছেন। তাই আজ উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি প্রণোদনা না দিলে সকল শিল্প বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে যেত।

তিনি আরও বলেন, করোনায় কত দেশের জিডিপি শেষ হয়ে গেছে, সেখানে আমাদের জিডিপি গ্রোথ হয়েছে। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকে আমরা শিল্প নিয়ে যে বড়াই করছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম যে দিকটি দেখেছিলেন সেটা হল বিদ্যুৎ। আগে একটি মেশিন বসানোর পর আরেকটি মেশিন বসানোর কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ বিদ্যুৎ নেই। অনেকে অর্ডার না নিয়ে চালু করায় লাইন কেটে দিতেন। এজন্য শিল্প বাড়তে পারেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তিনি বিদ্যুৎএর দিকে হাত দিলেন। আজকে বিদ্যুতের দিক দিয়ে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলা হতো। এখন আমাদের বিদ্যুৎ আরও অতিরিক্ত থাকে।

মন্ত্রী বলেন, আইসক্রিমের দোকানে গিয়ে দেখলাম নেচে গেয়ে আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। পরে এত লোক সমাগম হওয়ার কারণে বলা হল যে এখানে নাচা যাবে না। একটা নতুন জিনিস হয়েছে এখানে। সব কিছুতে ভালো আয়োজন হয়েছে এখানে। কোন কিছুরই কমতি এখানে নেই। রাস্তাঘাটের কারণে গাড়ি পার্কিং নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এখানে সিক্স লেন রাস্তা হচ্ছে। আগামী বছর এটা শেষ হয়ে যাবে। আগামী বছর এত লোক হবে আমি টিপু ভাইকে বলেছি, আগামী বছরের জন্য সাবধান হন। আগামী বছর অনেক লোক আসবে। অনেকে এবার স্টল নেয়নি ভেবেছে মেলা জমবে কী জমবে না। আমাদের দেশে ব্যবসা অনেক বেড়েছে। সবাই যখন মেলায় আসতে চাইবে তখন জায়গা দিতে পারবেন না। আমার মনে হয়, যেভাবে মেলা সাক্সেসফুল হয়েছে সকলেই খুশি হবে। আপনারা যদি প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান নিশ্চয়ই তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হবেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য ভালো বোঝেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।