ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্র্যাজুয়েশনের পর ১২ বছর সুবিধার প্রস্তাবে সমর্থন চাইলেন মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
গ্র্যাজুয়েশনের পর ১২ বছর সুবিধার প্রস্তাবে সমর্থন চাইলেন মন্ত্রী

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সহজ উত্তরণের জন্য এলডিসি গ্রুপের পক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ট্রেড প্রেফারেন্সের জন্য ১২ বছর সময় বর্ধিতকরণের (এক্সটেনশন) যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা সব পক্ষকে সমর্থন করতে হবে। বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা, ট্রিপস ওয়েভার কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন অর্জন করেছে।

 

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেনেভার ইউনাইটেড নেশনস অফিসের আঙ্কটাড সচিবালয়ের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বাণিজ্যমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়ালি সন্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিও  ‘হংকং মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা ও ‘নাইরোবি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী এলডিসির জন্য প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অব অরিজিন উন্নত দেশসমূহকে প্রদান করতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত উন্নয়নে আঙ্কটাডকে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। করোনার ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্জিত অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।

তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশসমূহের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন। করোনার অভিঘাত, ডিজিটাল ডিভাইড, জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবিলার জন্য চলমান ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম) সমূহসহ যুগোপযোগী আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে টেকনোলজি ট্রান্সফার ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সহায়তা দিতে হবে। আগামীতে অনুষ্ঠেয়  আঙ্কটাড-১৫, এমসি-১২, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন ওএলডিসি-৫ সন্মেলন ও কার্যক্রমসমূহে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এলডিসি ও গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসির স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়সমূহ কার্যকরভাবে উপস্থাপনের জন্য আঙ্কটাডকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

আঙ্কটাড জাতিসংঘের আন্তরাষ্ট্রিক একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে নীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আগামী ৩ থেকে ৭ অক্টোবর আঙ্কটাডের ১৫তম অধিবেশন ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। করোনা পরবর্তী এ অধিবেশন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আঙ্কটাডের অধিবেশনে করোনা প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ট্রেড, ফিন্যান্স ও টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী ১০ বছরের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে উক্ত অধিবেশনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মেলনের হোস্ট মালাওয়ি এর বাণিজ্যমন্ত্রী ও আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এলডিসি বাণিজ্য মন্ত্রীদের সম্মেলনে বাংলাদেশের সব প্রস্তাবসহ একটি ‘মিনিস্ট্রেয়াল ডিক্লারেশন’ ঘোষিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad