ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সমস্যায় কৃষিপ্রধান দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সমস্যায় কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টার আয়োজিত সার্ক চার্টার ডে অনুষ্ঠানে বক্তারা।

ঢাকা: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অন্য সমস্যার মতো কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টার আয়োজিত ‘সার্ক চার্টার ডে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাব পড়ছে আমাদের মতো ছোট দেশগুলোর ওপর।

এ কারণে মাটি, পানি ও বায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের কৃষি।

তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে মাছ, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা খাদ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার তুলনায় খাদ্য নিরাপত্তা কোনো অংশে কম নয়। তবে এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।

প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত আজ যেখানে ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি করছে, সেখানে আমরা সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে পাচ্ছি মাত্র ২০ টাকা। আমাদের এ সেক্টরে আরও বেশি উন্নতি করতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে ভারতের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) নাহিদ সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. এস এম বখতিয়ার। কি-নোটে পেপার উপস্থাপন করেন ভারতীয় বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ও ভারতীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইসিএআরের পরিচালক ড. ত্রিলোচন মহাপাত্র।

কি-নোট বিশ্লেষণে ড. ত্রিলোচন মহাপাত্র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সার্কভুক্ত সব দেশই এর সম্মুখীন। উন্নত দেশগুলোর প্রভাব আমাদের মতো কৃষিপ্রধান দেশগুলোর পানি, বায়ু ও মাটির ওপর বিদ্যমান। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য আমাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে এর তুলনায় সঠিক ব্যবহার জানলে জৈব সারে অধিক ফসল পাওয়া সম্ভব এবং সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।

বক্তারা বলেন, সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের মধ্য দিয়ে কাজ করার ফলে নিবিড় উন্নয়ন হচ্ছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে। এতে করে আমরা একে অন্যকে সাহায্য করছি এবং নিজেদের উদ্ভাবনগুলো আরও দ্রুত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি। বাংলাদেশ এমনিতেই অনেক সবুজ এবং কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ এবং কর্মীরা অংশ নেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলের সাতটি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ ১৯৮৫ সালে ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম সার্ক সম্মেলনে ‘সার্ক চার্টার’ এ স্বাক্ষর করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।