ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফরিদপুরে রূপালী ব্যাংকের দেড় কোটি টাকা চুরি, আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
ফরিদপুরে রূপালী ব্যাংকের দেড় কোটি টাকা চুরি, আটক ৫ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর: ফরিদপুর শহরের নিলটুলী মুজিব সড়কের রূপালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার ভোল্ট থেকে রহস্যজনকভাবে দেড় কোটির অধিক টাকা চুরি গেছে।

ব্যাংকের গেট ও ভোল্টের কোনো তালা না ভাঙা থাকায় টাকা চুরির বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছে পুলিশ।



এ ঘটনায় পুলিশ ব্যাংকের দুইজন কর্মচারী ও ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তিন আনসার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।

আটকরা হলেন- ব্যাংকের অফিস সহকারী আবুল কালাম আজাদ, ব্যাংকের গার্ড ফারুক হোসেন, তিন আনসার সদস্য- লুৎফর, রফিক ও আশিকুল।

ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খান শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার সকালে ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা বের করতে গিয়ে ভোল্টের তালা খোলা পান কর্মকর্তারা।

পরে খবর দিলে পুলিশ আসার পর তাদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।

তিনি জানান, কর্পোরেট শাখা হওয়ায় ব্যাংকে বিভিন্ন শাখার ২ কোটির বেশি টাকা ছিল। সেখান থেকে বড় নোটের ব্যান্ডিলগুলোসহ (এক হাজার টাকার নোট) কত টাকা নিয়েছে, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই হিসাব করে তা বের করা হবে। বাকি টাকা  (ছোট নোট) পুলিশ জব্দ করেছে।

এদিকে, ঘটনা জানাজানির পর পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে টাকা খোয়া যাওয়ায় সকাল থেকেই ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। দুপুর তিনটা পর্যন্ত ব্যাংকে কোনো লেনদেন হয়নি।

এদিকে, বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহকরা লেনদেন করতে এসে ফিরে গেছেন। টাকা তুলতে আসা গ্রাহকেরা বেশি বিপদে পড়েছেন।

গ্রাহক ড. নজরুল ইসলাম টাকা তুলতে এসে বলেন, ব্যাংকে চুরি হওয়ায় টাকা তুলতে পারিনি। ছেলে ঢাকায় লেখাপড়া করে। তার খরচের টাকা পাঠানো জন্য টাকা তুলতে এসেছিলাম।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা থেকে জমির দলিল করার জন্য টাকা তুলতে আসা মাহফুজা বলেন, আজ জমি দলিল করার জন্য টাকা তুলতে এসেছিলাম। কিন্তু ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকায় আমাকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

মাহফুজার মতো শত শত গ্রাহক লেনদেন না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান, ব্যাংকের গেট ও ভোল্টের কোনো তালা না ভাঙা থাকায় টাকা চুরির বিষয়টি রহস্যজনক।

তিনি বলেন, সন্দেহভাজন পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আনসার সদস্য ও দুই ব্যাংক কর্মচারী রয়েছেন।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।