জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৫ ও ২৬ জুন) অবস্থান কর্মসূচি এব শনিবার (২৮ জুন) কমপ্লিট শার্টডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত কর্মীদের প্ল্যাটফর্ম এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) এনবিআর চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের নেতারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। নেতৃবৃন্দ আগের দিন সোমবারের কর্মসূচি পুনরাবৃত্তি করেন।
তারা বলেন, নির্ধারিত সময়ে মধ্যে দাবি না মানায় ২৫ জুন থেকে কর্মসূচি বহাল থাকবে। কর্মসূচির মধ্যে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া আগামী শুক্রবারের মধ্যে প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং পতিত আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে আগামী শনিবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।
ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, চেয়ারম্যানকে অপসারণ—ইতোমধ্যে জারিকৃত ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক‘ সব বদলি আদেশ প্রত্যাহার ও নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলি আদেশ জারি বন্ধ করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত না করে বরং বিভাগের মর্যাদায় শক্তিশালী করাসহ রাজস্ব অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর লক্ষ্যে রাজস্ব অধ্যাদেশ সংস্কার বিষয়ক কমিটি বাতিল করে আন্দোলনরত সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তাকারী ৪৪ সচিবের তালিকার ৩ নম্বর সচিব উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এনবিআরকে অংশগ্রহণমূলক সংস্কার কার্যক্রমে পদে পদে বাধাদানকারী। বর্তমান চেয়ারম্যানের আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মতামত না নেওয়া; আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া; পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচির সমালোচনাকারী ও তুলনামূলক জুনিয়রকে কমিটিতে অন্তভুক্ত করা; নিপীড়নমূলক বদলি; বাইরে থেকে লোক এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং এনবিআরকে বিলুপ্তি করবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন। এর ফলে এনবিআর সংস্কারে তার প্রতি আস্থা রাখা যায় না।
জেডএ/এমজেএফ