ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরগুনায় রাতে ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
বরগুনায় রাতে ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি

বরগুনা: উপকূলীয় জেলা বরগুনার নদীগুলোতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তাই কমছে দামও।

খুচরা বাজারে আকার ভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।

শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে অন্যদিনের তুলনায় ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতা। বিগত কয়েক রাতে এমনই হচ্ছে।  

বিকেল থেকেই বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে দামও আগের চেয়ে কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় নদীর ইলিশ বাজারে ওঠে, তাই দিনের তুলনায় রাতে ইলিশের দাম কম থাকে। মাছের বাজারে এখন ইলিশের ক্রেতা বেশি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৪৫০ টাকা, এক কেজি থেকে এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০, ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্রাম ওজনে ইলিশ ৬০০, ২২০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা করে। শুধুমাত্র রাতে এ দামে ইলিশ বিক্রি হয়। সকালে দাম বেড়ে যায়।

বরগুনা পৌর মাছ বাজারে খুচরা ইলিশ বিক্রেতা মো. শাহ আলম ও রফিক বলেন, আমরা আড়ত থেকে কম দামে মাছ কিনলে খুচরা বাজারেও কমে বিক্রি করি। ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কম থাকে। অনেক সময় চাহিদার ওপর নির্ভর করেও দাম ওঠা নামা করে। তবে স্থানীয় জেলেদের মাছ বেশিরভাগ বিকেলে আসে বাজারে। এজন্য রাতে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকে এবং দাম কম থাকে।

বরগুনা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা এমদাদুল খান বলেন, রাতে শুধু ইলিশ নয়, অন্যান্য মাছের দামও কম থাকে, তাই আমি সব সময় রাতে মাছ কিনি। স্থানীয় নদীগুলোর মাছ তাজা, তাই চাহিদা বেশি। আমি ৬০০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি ইলিশ মাছ কিনলাম। আমার মতো অনেকেই রাতে মাছ কেনে।  

এসময় তার কথার সমর্থন জানালেন পৌর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার মুন্সি।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইলিশের মূল মৌসুম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। তবে অনেক সময় নদীতে পানিপ্রবাহ ভালো হলে আগেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়ে যায়। এবারও তাই হচ্ছে। স্থানীয় নদীগুলোতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, আকারে বড় বড়। দিনের বেলায় ইলিশ মাছ শিকার করে বিকেলে ও সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় ছোট বড় বাজারে ইলিশ বিক্রি করেন জেলেরা। আগের তুলনায় দামও কমেছে মাছের। জেলেরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছেন। তাদের অনেকে এখন নিষেধাজ্ঞা মানছেন। এখন নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। এ বছর মা ইলিশ গতবারের চেয়ে ৬০ থেকে ৬২ শতাংশ বেশি ডিম ছেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।