ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দিনে দুইবার গোসল করে ৩০ মণ ওজনের ফণী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২৩
দিনে দুইবার গোসল করে ৩০ মণ ওজনের ফণী

বরিশাল: ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার দিন বিকেলে জন্ম নেয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরু। আর এ কারণেই গরুটির নামও রাখা হয় ‘ফনী’।

চার বছর পরে যে গরুটি এখন উচুতে ৬ ফটু এবং লম্বায় ১১ ফুট, সেসঙ্গে পেটের বেড়ও ১০ ফুটের কম নয়।  

বিশাল আকৃতির এ গরুটির ওজনও ৩০ মণের বেশি হবে বলে জানিয়েছেন পরম যত্নে লালন-পালন করে বড় করে তোলা বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও তার পরিবার।

আর স্থানীয়রা বলছেন, অত্র উপজেলায় এর থেকে বড় গরু আর নেই, যদিও খামারি দাবি করেছেন এটি জেলার মধ্যে এবারের সবথেকে বড় ষাঁড় গরু।

গরুর খামারি আব্দুস সালাম বলেন, এ ধরনের গরুকে অনেক যত্ন করতে হয়, নিজেদের ঘরের মতো গরুর ঘর সবসময় পরিষ্কার রাখতে হয়, এছাড়া দিনে দুইবার গরুটিকে গোসল করা হয়, গরমে ফ্যানেরও প্রয়োজন হয়। শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয় এ জাতের গরুকে নিয়ম মেনে প্রাকৃতিক খাবার দিতে হয়। যেমন এ গরুটির খাবারের তালিকায় খৈল, খেসারি ও মুগ ডালের ভুষি, ভুট্টাগুড়া, কাঁচা ছোলা, চিটাগুড় ও ঘাসসহ পুষ্টিকর বিভিন্ন খাবার দিতে হয়।  যদিও এসব খাবার আমার ফার্মের অন্য গরুগুলোকেও দেওয়া হয়। তবে শুধু ফণীর পেছনে প্রতিদিন ১২ শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করতে গিয়ে বাড়ির পাশেই নেপিয়ার জাতের ঘাষ চাষ করেছি। এতে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।

এদিকে বৃহৎআকারের গরুটিকে দেখতে আব্দুস সালামের বাড়িতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করে জানিয়ে তার পরিবার।  

সালাম মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, খুব যত্ন করে নিজেদের হাতে গরুটি পালন করেছি, চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ টাকার এখন ভাগ্যে যা ঘটে।

তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিকভাবে যেটা ওর প্রয়োজন সেটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, অপ্রয়োজনীয় কিছুই ওকে কখনও খেতে দেওয়া হয়নি।  

শফিকের ভাই শাকিল সুমন বলেন, পরিবারের সবাই মিলে গরুটির দেখভাল করেছি। ক্রেতা আসছে, তবে কাঙ্ক্ষিত কথা কেউ এখনও বলছে না। আসলে বড় গরুর ক্রেতা এই অঞ্চলে নেই।  প্রয়োজনে ফণীকে বিক্রির জন্য ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

নিজেদের শ্রম বাদ দিয়ে ধরলেও ১০ লাখ টাকার ওপরে গরুটি বিক্রি না হলে শুধু ব্যয় পুষিয়ে ওঠা যাবে না বলে জানিয়েছেন লালন-পালকারীরা।

এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোনামী রহমান বলেন, অনেক খামারি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে আগ্রহী। এরমধ্যে আব্দুস সালাম সফল। আশা করি, ভালো দামে তিনি এটি বিক্রি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।