ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেট প্রতিক্রিয়া: যেসব দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
বাজেট প্রতিক্রিয়া: যেসব দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

ঢাকা: উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ ধার্য করে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত তা কার্যকর ও নগদ সহায়তার ওপর আরোপ করা ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। চলমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকারের কাছে এই দাবি তাদের।

শুক্রবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আজিজ গ্রুপ সেন্টারের অডিটোরিয়ামে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, আমরা নগদ সহায়তার ওপর আরোপ করা ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসংগত। আমরা মনে করি, এই সংকটময় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে।  

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩টি পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা মনে করি, এর ফলে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে আমরা দাবি করব, যেন আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি এলএনজি ও এলপিজির আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি। এটি করা হলে একদিকে আমাদের শিল্পে উৎপাদন খরচ কমবে, আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটি অর্জন সহজ হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জায়গাটিতে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। আমাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সব ধরনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং এই অসাধু কর্মকাণ্ডের পেছনে লাইনম্যান, মিটার রিডার ও ভোক্তা, যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে আরও কিছু বিষয়ের ওপর প্রস্তাব করা হয় এবং সে প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। সেগুলো হলো–

১. তৈরি পোশাক শিল্পের মূল্যায়নের সময় কর আরোপকালে অন্যান্য আয়, যেমন– সম্পদ নিষ্পত্তি, সাব-কন্ট্রাক্ট আয়ের ওপর লাভ এবং বিবিধ খরচকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করা।

২. তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টের ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের রুল-১৬ এর টেবিল-১ এর আওতায় সাব-কন্ট্রাক্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চুক্তির দাম পরিশোধের সময় প্রস্তাবিত ধাপ অনুযায়ী উৎসে কর ধার্য করা, ওই করকে চূড়ান্ত কর আদায় হিসেবে গণ্য করা, অন্যথায় মূল্যায়নের সময় কর আরোপকালে করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে ধার্য করা।

৩. রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের ইআরকিউ (এক্সপোর্টার রিটেনশন কোয়াটা ফান্ড) থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে করে ১০ শতাংশ করা।

এ সময় বিজিএমইএর পরিচালক, সদস্য ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এমকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।