ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প হবে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
আগামীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প হবে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত

ঢাকা: আগামীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত হবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।

বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যা এবং সম্ভাবনাঃ বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তুলনামূলক সমীক্ষা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং এসোশিয়েসন অব এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুল্লাহেল বারী।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ৭৫০ মার্কিন ডলার থেকে ২৮৪০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ। ইতোমধ্য আমরা তৈরি পোশাকসহ বেশ কয়েটি সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি ও বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড বাংলাদেশ ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বর্তমানে আমাদের সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোর প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য আমরা নীতিমালাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্য আমরা ফার্নিচার, বাইসাইকেল, প্লাস্টিক প্রভৃতি শিল্পের ব্যাপারে পদক্ষপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্র, সেহেতু ব্লু-ইকোনমি আমাদের অন্যতম সম্ভাবনার জায়গা। শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি যথার্থ সুফল কোনভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়। সেইজন্য আমরা শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা চালিয়েছি। এই প্রতিবন্ধকতা ও  চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলেই, আগামীতে শিপবিল্ডিং সেক্টর হবে দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত। কেননা বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্য সংগঠিত হয়  সমুদ্র পথে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে। এপর্যন্ত  প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ এক্সপোর্ট হয়েছে, যেটি ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে। আমরা যদি প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২০৪০ সালে এই শিল্প থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।  

এসময়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসোশিয়েসন অব এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুল্লাহেল বারী বলেন, নিঃসন্দেহে শিপবিল্ডিং সেক্টর ব্লু ইকোনমির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত, শিপ বিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি সঠিকভাবে বিকশিত হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের জাহাজ নির্মাণ খরচ প্রায় ১৫% কম, কিন্তু জাহজ নির্মাণ  শিল্প একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। একটি জাহাজ তৈরিতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ বছর। ফলে এলসি ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি হয়। জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সমস্যা আমাদের প্রথমেই নিরসন করা উচিত।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।