ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুনের ২য় সপ্তাহে বাজারে আসছে হাঁড়িভাঙা আম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
জুনের ২য় সপ্তাহে বাজারে আসছে হাঁড়িভাঙা আম

নীলফামারী: এ পর্যন্ত খড়া ছাড়া তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেনি। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে বড় হয়েছে উত্তর জনপদের নাম করা হাঁড়িভাঙা আম।

 

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুন মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে বাজারে আসছে সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙা আম।  

তবে প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজ করায় আগে পেকে গেলে আগেই বাজারে আসতে পারে এ আম। তবে হাঁড়িভাঙার আসল স্বাদ পেতে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।  

এখন চলছে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান বেচাকেনার পালা। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা আমচাষিদের কাছে আসতে শুরু করেছেন।  

অত্যন্ত মিষ্টি হওয়ায় এবং এতে কোনো আঁশ না থাকায় হাঁড়িভাঙা আম অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার কারণে রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, নীলফামারীর সৈয়দপুর, সদর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা, চিরিরবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই এ আমের বাগান করেছেন।  

ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এসব বাগান। চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় বাগানে আম দোল খাচ্ছে গাছগুলোতে। তবে এ বছর আম আকারে কিছুটা ছোট ও ফলন তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে বলে চাষিরা জানান।  

কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, এবার গাছে মুকুল আসার পর প্রচণ্ড খরা ছিল। এ কারণে অনেক মুকুল চুপসে ঝরে পড়েছে। এ অবস্থায় সেচের মাধ্যমে যারা পানির ব্যবস্থা করেছেন, তাদের বাগানে আমের ফলন ভালো হয়েছে। আমের আকারও কিছুটা বড় হয়েছে।  

রংপুরের বদরগঞ্জ রামনাথপুর ইউনিয়নের আমচাষি রাজু সরদার বলেন, গাছে আম আসার পর থেকে শুরু হয় এলাকার মানুষ ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়ের উপদ্রব। তাদের পাহারা দিয়েও আটকানো যায় না। পৈত্রিক ১০ কাঠা জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান করেছি। যদিও পরিচর্যা সেভাবে করতে পারিনি। বাগানটি কেনার জন্য পাইরকাররা আসছেন। আম পাকার সময় হলে তারা এসব ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন।  

একই কথা বলেন একই এলাকার আমচাষি জাহিদুল ইসলাম।  তার ছোট্ট হাঁড়িভাঙা আমের বাগান মাত্র ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে এলাকার অন্য বাগানগুলোতে বেচাকেনা জমে উঠেছে। আবার অনেকে রামনাথপুর ইউনিয়নের সারি সারি হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান এমনিতেই দেখতে আসছেন।
 
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ বলেন, দেশের বাজারে সব আম শেষ হওয়ার পর হাঁড়িভাঙা আম বাজারে আসে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ আম বাজারে আসবে।  

উপজেলার অনেক কৃষক পরিত্যক্ত ও উঁচু জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান করে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিবছরই এ আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রংপুর জেলায় এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। তাছাড়া ঝড় কিংবা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন ক্ষতি হয়নি এবার। তবে অতিরিক্ত তাবদাহ থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন বেশি হয়েছে। আমচাষে খুব বেশি পরিশ্রম ও অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না। এজন্য অনেকেই আমচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।