ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এআইআইবিকে ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ অর্থমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এআইআইবিকে ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ অর্থমন্ত্রীর

ঢাকা: এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে (এআইআইবি) ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে স্প্রেড পুনঃনির্ধারণসহ বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ অনুরোধ জানান।

কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য এআইআইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে এবং আমাদের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের আরও বাজেট সমর্থন প্রয়োজন।  

মুস্তফা কামাল বলেন, সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (এসওএফআর) হারের বর্তমান অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিবেচনা করে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে (এআইআইবি) ঋণের শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি একটি ক্যাপ চালু করা, স্প্রেড পুনঃনির্ধারণ করা, এবং ম্যাচুউরিটির সময়কাল বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করার বিষয়ে অনুরোধ জানান।  

তিনি বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) গ্রিন ক্লাইমেট ফাইনান্স এবং এসডিজির লিঙ্কড বন্ডের ওপর গুরুত্ব দিতে পারে। বিশ্বব্যাংক এসডিজি লিঙ্কড প্রথম বন্ড উত্থাপন করেছে যা এআইআইবি দ্বারা অনুসরণ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি।  

তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে, আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মত আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।

এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব জনাব শরিফা খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
জিসিজি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।