ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে সবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৫৭, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
বেড়েছে ডিমের দাম, কমেছে সবজির

ঢাকা: বাজারে দাম বেড়েছে ডিমের। তবে কমেছে শীতকালীন সবজির দাম।

এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য সব পণ্যের দাম।  

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে দাম কমেছে শীতকালীন সবজির। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।  

তবে বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।

এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।  

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমীন  বলেন, বাজারে সবজির দাম একটু কমেছে। শীত ও কুয়াশার কারণে বাজারের সবজি কম আসছে একারণে সবজির দাম বাড়তে পারে।  

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।  

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।  

বাজারে খোলা আটার কেজি ৬০-৬৫ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা।  

বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা।  এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।  

এসব বাজারে ফার্মের মুরগি লাল ডিমের হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। এখন হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। তিন দিন আগে হালি ছিল ৩৮ টাকা। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।

১১ নম্বর বজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু বেড়েছে। হালিতে ২ টাকা বেড়েছে। অন্য ডিম আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়।

বাজারে আগে দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকায়।  

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, আগের দামে বাজারে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। শীতকালে তুলনামূলক মুরগির উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।