ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

৩ দিনের সফরে ভারতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
৩ দিনের সফরে ভারতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কলকাতা: তিনদিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহ: শাহরিয়ার আলম এমপি।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সড়ক পথে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে পৌঁছান তিনি।

সেখানে পৌঁছে কান্দির রাজ কলেজ পরিদর্শন করেন এবং সেখানে দীর্ঘ সময় কাটান।

কলেজের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানান কলেজের অধ্যক্ষা ডক্টর সোমা দত্তসহ অন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।

কলেজ প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদ আবুল, বরকতের আবক্ষ মূর্তি, অমর একুশের স্মৃতি সৌধতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর সঙ্গে তার বাবা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন-সহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আছেন।

কলেজ পরিদর্শনের পর ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী কান্দির শিক্ষার্থী রুমানা সুলতানার বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাহরিয়ার আলম ও তার বাবা। সেখানে রুমানা সুলতানাকে মিষ্টি খাওয়ান শাহরিয়ার আলম। এছাড়াও একটি জ্যাকেট সুলতানাকে তুলে দেন তার বাবা। এসময় ছাত্রীর পরিবারের হাতে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ তুলে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবাংলার সঙ্গে আমাদের পরিবারের আত্মার সম্পর্ক। কান্দির জেমো এন এন স্কুলের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। এই কান্দিতেই কেটেছে আমার বাবার ছাত্রবস্থা। তাই এখানে আসা মানে একপ্রকার স্মৃতিচারণ করা। তাছাড়া বাবার ইচ্ছা ছিল যে এবারে কান্দির কৃতী ছাত্রী রুমানা সুলতানাকে সংবর্ধনা দেওয়া। তাই সব মিলিয়ে এখানে এসেছি।

অন্যদিকে রুমানা জানান, মন্ত্রী আমাকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি সেই কথা রেখেছেন। তাছাড়া জ্যাকেট, মিষ্টিসহ আরও বেশ কিছু উপহার সামগ্রী আমাকে তুলে দিয়েছেন। মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আমি খুব খুশি এবং আনন্দিত।

পরে মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক নিয়ে একাধিক কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি উন্নত এবং অনেক বেশি বিশ্বাসের ও গভীরের। এই সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়। যখন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও গোটা ভারতের মানুষ বিশেষ করে পশ্চিমবাংলার মানুষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। আশ্রয় দিয়েছিলেন, প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার সম্পর্ক খুবই ভাল এবং দুই দেশের মধ্যে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যা কিছু থাকবে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সঙ্গে আমরা সেগুলির সমাধান করে চলেছি।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) কলকাতায় মন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষির্কী, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী আলম।

বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং কলকাতা ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় মেজর (অব:) এ.এস.এম.শামসুল আরেফিন কর্তৃক সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ ৫০’ এবং সত্যম রায় চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ শীর্ষক দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হুমায়ূন কবীর, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’এর সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মানপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সূর-সহ প্রমুখেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
ভিএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।