ঢাকা, রবিবার, ২৫ কার্তিক ১৪৩১, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উপ-হাইকমিশনে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
উপ-হাইকমিশনে পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

কলকাতা: ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরে এবং বিশ্বের সকল ভাষাকে সম্মান জানিয়ে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে কলকাতায় অবস্থিত বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিগণ তাদের নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

এতে অংশগ্রহণ করে নেপাল, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশগুলো। অংশগ্রহণ করে ভারতও।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চমৎকার সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতে ‘মাই মাদার টাঙ' প্রামাণ্য চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বাংলা সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ অবদানের ওপর নির্মিত ডকুফিচার ‘আমি সৌমিত্র’ প্রদর্শিত হয়। সান্ধ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

এর আগে সকালে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মুজিব শতবর্ষ’-এ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে  ‘ভাষা শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।  

একুশের শুরুতে উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে পরে অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

এরপর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়। প্রভাতফেরিটি ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্যকেন্দ্র’ থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এ প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, সোনালী ব্যাংক লিঃ ইন্ডিয়া অপারেশন্স কলকাতা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কলকাতা-এর সকল স্বদেশভিত্তিক কর্মকর্ত-কর্মচারি এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ, কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকবৃন্দ, কলকাতার ভাষাপ্রেমী, কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সভ্যবৃন্দ।

প্রভাতফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

পুষ্পার্ঘ্যের পর উপ-হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট মহিলা চিকিৎসক গৌতম খাস্তগীর, বিধায়ক অসিত মিত্র, বিশিষ্ট কবি বরুন চক্রবর্তী, মানিক দে, কবি ও লেখক গোপাল চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গের ইউনিসেফ প্রধান মো. মহিউদ্দিন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পরিষদের সম্পাদক গোপাল দাস ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পাদক ইলোরা দে প্রমুখ।

এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে এ মিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মো. বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, আমাদের বাংলা ভাষা চর্চা যেন শুধুমাত্র ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং একুশের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যেন সারা বছরই শুদ্ধ বাংলা চর্চা করতে পারি, আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক বাংলা ভাষা শিক্ষা দিতে পারি, তাহলেই ভাষা শহীদদের প্রতি আমরা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
ভিএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।