ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আলাদা রাজ্যের দাবিতে দার্জিলিংয়ে হরতাল, হতাশ পর্যটকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
আলাদা রাজ্যের দাবিতে দার্জিলিংয়ে হরতাল, হতাশ পর্যটকরা

কলকাতা: আলাদা রাজ্যের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দার্জিলিংয়ে হরতালের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এ কারণে উত্তেজনার পারদ উঠতে শুরু করেছে শৈল শহরে।

 

পশ্চিমবঙ্গে সমতলের মানুষের কাছে পূজার ছুটি মানেই দার্জিলিং। কিন্তু রাজনীতির আবহ উত্তপ্ত হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পর্যটকদের।

যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় এ হরতালের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মত, পাহাড়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য হরতাল সফল করার চেষ্টা করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

গত পাঁচ বছর ধরে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে দলটি। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই হরতালের পথে হাঁটতে শুরু করেছে দলটি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, পূজার পরেই দার্জিলিংয়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পক্ষে থেকে কালিম্পংকে আলাদা জেলা ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করবে, যতো দ্রুত সম্ভব দার্জিলিংয়ে থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ক্ষমতা ও প্রভাব কমাতে। এ রাজনৈতিক লড়াই পূজার মুখে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে পাহাড়কে। এ কারণে হরতাল ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।

এই রাজনৈতিক টানাপড়েনে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতার পর্যটকদের। দার্জিলিংয়ে হরতাল বিগত দিনগুলোতে বহুবার চূড়ান্ত উত্তেজনার রূপ নিয়েছিল। শুধুমাত্র যান চলাচল বন্ধ নয় দোকানপাট থেকে শুরু করে সবকিছু বন্ধ করে হরতাল পালনের ইতিহাস দার্জিলিংয়ের নামের সঙ্গে বারবার যুক্ত হয়েছে।
 
এর ফলে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। পাহাড়ে হরতাল হলে সেখান থেকে সমতলে ফেরত আসা খুবই কষ্টকর। সরকার পদক্ষেপ নিলেও অনেক সময়ই হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যায়। এর প্রমাণ আগেও পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রে একদিনের ডাকা হরতাল পরের দিনগুলোতেও চলতে থাকে।

পাহাড়ে যাওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুবই উৎসুক। প্রায় সবাই ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলেছেন। অনেকেই হোটেলও বুকিং করে ফেলেছেন। এর মধ্যে পাহাড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার খবরে চিন্তায় ফেলেছে তাদের।

যদিও দার্জিলিংয়ের হোটেল মালিকরা দাবি করছেন, পরিস্থিতি ঠিক থাকবে, আগের মতো হবে না।

গত দুইদিনে বেশ কিছু বুকিং বাতিল হয়েছে বলেও জানান তারা।

পূজার মুখে পাহাড়ের এ উত্তেজনা কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের সমতলের মানুষকে হতাশ করেছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।