ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের শিশু মৃত্যু নিয়ে মানবধিকার কমিশনের রিপোর্ট তলব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১১
পশ্চিমবঙ্গের শিশু মৃত্যু নিয়ে মানবধিকার কমিশনের রিপোর্ট তলব

কলকাতা: বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ২১টি শিশুর মৃত্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ভারতের মানবাধিকার কমিশন।

মানবধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পর পর কয়েকদিনে হাসপাতালে বেশ কয়েকটি শিশু মৃত্যু নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।

কয়েকটি শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে শিশুদের চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়।

সেই কারণে কমিশনের এই রিপোর্ট তলব বলে জানা গেছে।

কমিশন আরও বলেছে, হাসপাতালে শিশুদের পরিচর্যার বিষয়টি গুরুতর। এক্ষেত্রে  কোনরকম গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না।

হাসপাতালে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে দু’সপ্তাহের মধ্যে মানবধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার হাসপাতালটি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হাসপাতালের অধ্যক্ষকে নিয়ে প্রতিটি বিভাগ তিনি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সুপার, চিকিৎসক, নার্স সহ কর্মীদের সাথে। কথা বলেন চিকিৎসারত শিশুদের স্বজনদের সাথে।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এদিনও তিনি বলেন,‘ যতগুলি শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। ওই অবস্থাই তাদের অন্য হাসপাতাল থেকে এনে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল। ফলে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি। ’

এদিন তিনি আরও বলেন,‘ এরকম ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের সাথে এবিষয়ে কথা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হবে। গড়া হবে অনলাইন নেটওর্য়াক। ’

উল্লেখ্য, বিগত ৩ দিনে কলকাতার বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ২১টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসায় পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ২ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ও হাসপাতালের অভ্যন্তরীন কমিটি  শুক্রবারই তাদের রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দেয়। রিপোর্টে হাসপাতালের চিকিতসার গাফিলতির কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

ভারতীয় সময়: ০১১৫ঘন্টা, জুলাই ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad