ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পুরির বাতাসে....

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
পুরির বাতাসে.... ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভুবণেশ্বর থেকে: সূক্ষ্ম সাদা বালির সৈকত, সেখানে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে। দলে দলে উপাসনাকারী শুদ্ধতার জন্যে আরো গভীরে চলে যান।

জগন্নাথ দেবতার ভক্তদের জন্য এটা এক পবিত্র জায়গা।
 
সুদর্শন পাত্নিকের বালির তৈরি স্থাপত্যের জন্যে পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত পুরির এই সমুদ্র সৈকত। তিনি বালিতে দেব-দেবীর মূর্তি বানিয়েছিলেন। ভারবর্ষের জগন্নাথ ভক্তরা নিজেদের শুদ্ধ করতে পুরিতে আসেন।
 
যারা বঙ্গোপসাগরকে দেখেছেন, তাদের কাছে পুরির ঢেউ নতুন নয়। ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে। দৌড়ে আরো ওপরে যান সমুদ্রবিলাসীরা। আবারো পানি না ছুঁয়ে সমুদ্র পাড়ে নামতে থাকেন তারা।
 
১৩ নভেম্বর বিকেলে আমরা রওনা করি পুরিতে। ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিলোমিটারের পথ। বেশ চওড়া আর নিরিবিলি। মাঝে মাঝে কিছু গরুকে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। সেখানে ধীর করতে হয় গাড়ি। পুরির আগের জনপথ রোড আর পাশের দোকান পাট দেখলেও আমাদের চকরিয়া বা লোহাগাড়াকেই বোঝা যাবে।  
 
প্রায় ১ ঘণ্টা গাড়ি চলার পর নারিকেল গাছের বাগান চোখে পড়তে থাকে। বোঝা যায়, সমুদ্র সৈকতের কাছেই চলে এসেছি।

সন্ধ্যা নাগাদই আমরা পৌছাই পুরিতে। কিন্তু হায়, তখন সূর্যও পড়ে গেছে। অথচ সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখার জন্যও খ্যাত এই সৈকত।
 
আমরা সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আসা ঠাণ্ডা হিমহিম বাতাস অনুভব করি। তবে বেশ জমজমাট এই সৈকত। ঘোড়ার পিঠে, উঠের পিঠে মানুষ সওয়ার হচ্ছে।
 
আর বঙ্গোপসাগরের সৈকতের মতো এখানেও যে ঝিনুক, মুক্তার মালা আর বিভিন্ন অলংকার ও সজ্জার দোকান বসবে সেটাইতো স্বাভাবিক। কয়েক লাইনে এ ধরনের দোকান। তবে বেশিরভাগই ঝিনুক দিয়ে গড়া বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি।
 
ভারতের সব জায়গাতেই ভেলপুরির ফেরিওয়ালারা রয়েছে। এখানেও বেশ কয়েকজন।
 
কক্সবাজার সৈকতের মতোই এখানেও ছোট ছেলে-মেয়েরা হাতে মুক্তার মালা নিয়ে দৌড়ায় পর্যটকদের পেছন পেছন। এমনি একজন আমাদের দেখালো তার কাছে ওড়িষ্যার সত্যিকারের হীরা! বললো, এটা দোকানে এক খণ্ড ২০ হাজার রুপির নিচে পাওয়া যাবে না। তবে শেষমেষ ৫০ রুপি দিয়েও সেই হীরা বিক্রি করতে পারলেন না তিনি।
 
সৈকত ধরে বেশ কিছুদুর হাঁটলাম আমরা।
 
বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের আলাদা একটা মাদকতা রয়েছে। অনেক বেশি কাছে টানে। যেমন ঢেউ, তেমনি ঢেউয়ের গর্জন শক্তির প্রকাশ দেয়।
 
রাত আটটায় আমরা ফেরার জন্যে রওয়ানা হই।
 
ট্যাক্সি চালক জনপথ রোডে একটি দোকানে চা খেতে থামালেন। গরুর দুধের অসাধারণ চা। সেখানে নেত্র লজের ম্যানেজার দিলীপের সঙ্গে কথা হলো।
 
দিলীপ জানালেন, এখানে পর্যটকদের ভাল চাপ রয়েছে। পুরো ভারতবর্ষ থেকে মানুষ ঘুরতে আসে। বাংলাদেশিরাও আসে, তবে কলকাতা বা দিল্লির তুলনায় কম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এমএন/জেডএম

** ১৯ দিনে ৩ দেশে ৪২২৩ কিলোমিটার মোটর র‌্যালি
** বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মৈত্রী মোটর র‌্যালিতে মাজেদুল নয়ন
** আই.আই..আই...চেন্নাই এক্সপ্রেস!
*** রামহরি মিস্ত্রী লেনের কথা
** রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর ভেলপুরি
**নিউমার্কেটে হ্যাপি দিওয়ালি
** পুরুষ প্রবেশ নিষেধ
**ভাত-ইলিশের প্যাকেজ ১২০ টাকা
** ‘আমি সীমানায় বিশ্বাসী নই’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।