ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ব্যাপক নিরাপত্তায় জঙ্গলমহলে পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ শুরু

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১১

কলকাতা: ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোট জঙ্গলমহলের ৩টি জেলা ও বর্ধমান জেলার একাংশে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বর্ধমানের ১২টি, বাঁকুড়ার ৯টি, পুরুলিয়ার ৫টি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭টি আসন রয়েছে।



শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট কেন্দ্রগুলিতে লম্বা লাইন দেখা গেছে।

ইসি জানিয়েছে, সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রথম দু’ঘণ্টায় ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে জঙ্গলমহলের তিনটি জেলা বাকুঁড়া ২০ দশমিক ১৭, পুরুলিয়া ১৯ দশমিক ৬০, পশ্চিম মেদিনীপুর ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

অন্যদিকে, বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চলে ওই ভোটের হার ২০ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

এদিকে ভোট শুরু হবার প্রথমে সিপিএমের বিরুদ্ধে একপ্রস্থ অভিযোগ করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি মানস ভ্্ুঁইয়া।

এদিন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরে এবং ওই কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে বুথের বাইরে বলেন, সিপিএম বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র খারাপ করে, গত রাতে মদ-মাংস খাইয়ে ভোট ল-ভ- করে দিয়েছে।

জানা গেছে, পুরুলিয়ার পারা বিধানসভা কেন্দ্রের ১০৯ নম্বর বুথে প্রার্থীদের এজেন্টদের না দেখিয়ে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র চালু করে দেওয়া হয়। এরজন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বর্ধমানের জামুরিয়ার ১৭৭ ও ১৭৮ নম্বর বুথে বেলাবাধে তৃণমূল এজেন্টকে মারধর এবং বুথে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১ জন সিপিএম সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রায়নার বেলাসরে ১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এছাড়া ৬৩ ও ৬৮ নম্বর বুথে বারাবনি কেন্দ্রে বুথ জ্যামের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখানেও নকল ভোটযন্ত্র নিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে।

তবে মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে ভোট নির্বিঘ্নৈই চলছে।

২৫টি ল্যান্ড মাইন নিরোধক গাড়ি, ইনসাস, একে৪৭, এলএমজি নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোটরবাইক নিয়ে টহলদারি চলছে এই তিনজেলার প্রতিটি অঞ্চলে। আকাশ পথে চক্কর দিচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার।

ডেবারা কেন্দ্র ২৪ নম্বর বুথে ভোটযন্ত্র খারাপ থাকায় ভোট শুরু করতে একঘণ্টা দেরি হয়।

এই কেন্দ্রেরই হরিদ্রাপাত এলাকায় বহিরাগতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জন্য এক সিপিএম কর্মী আক্রান্ত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই চারটি জেলায় ৭১০টি ঝুঁকিপূর্ণ বুথে রয়েছে।

২০ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ৭ জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করেছে ইসি।

ভোট শান্তিতে করতে ২১৬টি ডিজি ক্যামেরা ও ৪৪১টি সিসি ক্যামেরার রয়েছে বিভিন্ন বুথে। ১৫০টি বুথ থেকে সরাসরি ওয়েবক্যাম্প করা হচ্ছে।

মোট ৪১ হাজার ২৭৬ জন ভোট কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে।

বাঁকুড়ায় ১৩৪, পুরুলিয়ায় ১১৩, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫৭ ও বর্ধমান ১১৮ কোম্পানি কেন্দ্রিয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।