ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রচারে সোনিয়া, প্রকাশ কারাত

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১
দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রচারে সোনিয়া, প্রকাশ কারাত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে দ্বিতীয় দফায় ভোটের প্রচারে নেমেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি ও সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাত।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সোনিয়া বিমানে করে কলকাতায় আসেন।

বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টারে করে বীরভূমের নলহাটিতে যান।

সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ছেলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখার্জির হয়ে জনসভায় অংশ নেন।

সেখান থেকে দুপুরে আবার হেলিকপ্টার করে যান মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে। সেখানে কংগ্রেসপ্রার্থী ডালিয়া বেগমের হয়ে জনসভা করেন সোনিয়া। এররপর বিকেলে নদীয়া জেলার শান্তিপুরে কংগ্রেসপ্রার্থী অজয় দের হয়ে প্রচারে অংশ নেন তিনি।

এর প্রতিটি জনসভায় তার সঙ্গে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি, পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ ও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি মানস ভূঁইয়া।

এসব নির্বাচনী সভায় রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের তীব্র সমলোচনা করেন সোনিয়া।

তিনি বলেন, ‘গত ৩৪ বছরে রাজ্যকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে বামফ্রন্ট সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল তার জবাব দিতে হবে সরকারকে। ‘

রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পক্ষে ভোট চেয়ে সোনিয়া বলেন, ‘বিগত ৩৪ বছরে সব ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে গেছে। বেকারত্বের সমস্যায় বিপর্যস্ত তরুণ প্রজন্ম। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের নতুন পথ দেখবে পশ্চিমবঙ্গ। ’

এসব জনসভা শেষ করে বিকালেই দিল্লি ফিরে যান সোনিয়া।

অন্যদিকে, হাওড়ায় এদিন দু’টি জনসভা করেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক প্রকাশ কারাত।

কারাত বলেন, ‘দেশের মেহনতি মানুষের লড়াইকে জোরদার করতে আবার রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে চাই। ’

তিনি বলেন, ‘রাজ্যে বিরোধীরা পরিবর্তন চাইছে। কোন পরিবর্তন? কেন্দ্রের জোট সরকারের যে ঢালাও দুর্নীতি চলছে সেটাই কি রাজ্যে পরিবর্তনের নামে তারা আমদানি করতে চাইছে?’

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।