চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ ৩০ বছরের ধারাবাহিক সংগ্রামে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিই একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বাঁশখালীরতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ড. সেকান্দর চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত ঘাতক দালালদের পৃষ্ঠপোষক এবং প্রেতাত্মারাই ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃতির প্রতিযোগিতায় ছিলো। তাই একটি প্রজন্ম ছিলো ইতিহাস বিভ্রান্তিতে । ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঘাতক দালালদের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তাঁর নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর শহীদ জননী জাহানারা ইমামই যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটির বাস্তব রুপ দিয়েছেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই নিয়েছিলেন। এজন্য সমগ্র জাতিকে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধ নতুন মাত্রায় বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক লায়ন শেখর দত্তের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা আজমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বন্ধু চক্রবর্ত্তী ও সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. সাহাব উদ্দিন, মাহমুদুল ইসলাম বদি, লোকমান আহমেদ প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিল্পীরা। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে লায়ন শেখর দত্তকে সভাপতি ও আজমীরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমএ/পিডি/টিসি