ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

উদীচীর বর্ষাবরণ আয়োজনে প্রাণের মেলা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
উদীচীর বর্ষাবরণ আয়োজনে প্রাণের মেলা ...

চট্টগ্রাম: গান, নৃত্য, আবৃত্তি, কথামালাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষার অনুষ্ঠান করেছে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ।  

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চেরাগি পাহাড়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে সংগঠনের কার্যালয়ে নবীন-প্রবীণ সংগঠক, শিল্পী, কবি-সাংবাদিক, রাজনীতিক, চারুশিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সম্মিলন ঘটে।

বর্ষার আয়োজন হয়ে ওঠে প্রাণের মেলা।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায় সম্বৃত অম্বর হে গম্ভীর! বনলক্ষ্মীর কম্পিত কায়, চঞ্চল অন্তর’ গানের সঙ্গে নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদীচীর বর্ষার আয়োজন।

ফাঁকে ফাঁকে চলে উদীচীর শিল্পীদের একক ও সমবেত পরিবেশনা। উদীচীর সংগঠকসহ উপস্থিত সুধীজনেরাও বর্ষা নিয়ে তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন।

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশের সভাপতিত্বে এবং সহ সাধারণ সম্পাদক জয় সেনের সঞ্চালনায় কথামালায় অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্ত, সংস্কৃতিজন অধ্যাপক বিপুল বড়ুয়া, শহীদজায়া প্রয়াত বেগম মুশতারী শফীর সন্তান মেহরাজ তাহসান শফী, জেলা সংসদের সদস্য নওশাদ আলম, জেলা যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির ও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এ্যানি সেন এবং আলোকচিত্রী সঞ্চয়ন চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, ঋতুর রাণী বর্ষা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে শুষ্কপ্রায় প্রকৃতিকে রক্ষার ব্রত নিয়ে, প্রকৃতিকে সজীবতার ভিন্ন মাত্রা দিতে ষড়ঋতুর পরিক্রমায় প্রতি বছর ঘুরে আসে বর্ষা। অবিরাম বারি বর্ষণে স্নিগ্ধ সজীব পরশ বুলিয়ে দিয়ে প্রকৃতিতে প্রশান্তি এনে দেয় বর্ষা। এবারও বর্ষা এসেছে তার চিরচেনা রূপ নিয়ে। কদমও ফুটেছে। বৃষ্টি হোক বা না হোক, বর্ষায় সজীব প্রকৃতি। আষাঢ়-শ্রাবণের বহুমাত্রিক রূপবৈচিত্র্য বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে। রচিত হয়েছে অজস্র গান আর কবিতা। বাঙালির জীবনে বর্ষার প্রভাব অসীম, অনন্ত। বর্ষা ঠাঁই করে নিয়েছে বাঙালির সংস্কৃতিতে। চিরন্তন সেই সংস্কৃতিকে জাগরুক রাখার প্রয়াসেই উদীচীর এই আয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, প্রকৃতির ওপর অত্যাচার দিন দিন বাড়ছে। গাছপালা, পাহাড় কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। নদী-নালা, খালবিল, জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। প্রকৃতিকে বিরক্ত করার প্রতিশোধ প্রকৃতিও নিচ্ছে। আমাদের চিরচেনা ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যও আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে। এই আয়োজন থেকে আমরা গাছ, পাহাড়, জলাশয়, প্রকৃতি রক্ষার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের চিরচেনা প্রকৃতি থাকুক চিরচেনা রূপেই।

লোকসঙ্গীত শিল্পী মানস পাল চৌধুরী ও মিতালী রায়ের পরিবেশনা গুরুগম্ভীর আয়োজনে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। উপস্থিত সবাই প্রাণভরে উপভোগ করেন তাদের গান। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আড্ডা আর স্মৃতিচারণে মাতেন উদীচীর সংগঠকরা। নবীনরা নেন এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা। রীতি অনুযায়ী ভোজনপর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় উদীচীর বর্ষার আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।