সাগরিকা বাজার (চট্টগ্রাম) থেকে: নগরের যে কটি প্রসিদ্ধ গরুর বাজার রয়েছে তার মধ্যে সাগরিকা গরুর বাজার অন্যতম। এ বাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুরোদমে আসতে শুরু করেছে গরু ছাগল মহিষ।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাগরিকা গরুর বাজারে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে আসছে গরু। সেই গরুগুলো একের পর এক নামানো হচ্ছে। এরপর বাজার কর্তৃপক্ষের সাঁটানো সামিয়ানায় সারি সারিভাবে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেপারীরা। গরুগুলো আনার সঙ্গে সঙ্গে গোসল দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হচ্ছে। এরপর খাবার দিয়ে বিশ্রাম করতে দিচ্ছেন বেপারীরা। এর মধ্যে কিছু ক্রেতা গরুগুলো দেখে দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন।
কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ৪০টি গরু নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ রফিক। গরুগুলোর মালিক কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাউন্সিলর মো. আব্দুর রব। তার এখনো গরু বেচাকেনা হয়নি। তিনি আশা করছেন আজকে থেকে ভালো বেচাকেনা শুরু হবে।
লক্ষ্মীপুরের আব্দুল মোতালেব ৩৪টি গরু এনেছেন রাজশাহী থেকে। তার মধ্যে ১৮টি গরু ভারতের। বাকিগুলো দেশীয় জাতের। তিনি মাত্র ৩টি গরু বিক্রি করেছেন।
কুষ্টিয়া আর বরিশাল থেকে ৫৪টি গরু এনেছেন সালেহ আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখনো তেমন বেচা শুরু হয়নি। সন্ধ্যায় মানুষের আনাগোনা বাড়ে তখন কিছু বেচা হয়।
মো. শরিফুল ইসলাম, সাগরিকা গরুর বাজারে স্থানীয় বেপারী। তিনি অনেক আগে থেকে গরুর ব্যবসা করেন। বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার। তার ২৫টি গরু মজুদ রয়েছে। আরও ২ ট্রাক গরু রাতে আসবে।
তিনি বলেন, কিছু গরু ভোররাতে এসেছে। বাকি আরও দুই ট্রাক গরু রাতে আসবে। এখনো বেচা হয়নি একটিও। এসে গরুগুলোকে গোসল করিয়ে খাওয়া দাওয়া দিয়ে ফিট করেছি মাত্র।
সাগরিকা গরুর বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. নুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখনো বেচাকেনা জমে উঠেনি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসতে শুরু করেছে। রাতে ৬০ ট্রাক গরু আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দল বাজারের সবদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ক্রেতা বিক্রেতাদের কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করছি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
বিই/টিসি