চট্টগ্রাম: সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির নবগঠিত কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। কমিটিতে মৃত ব্যক্তি, মাদক মামলার আসামি পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সাতকানিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সদ্যঘোষিত কমিটিতে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেনের অনুসারীদের দিয়ে একক কমিটি গঠন করেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। আর এ দুই কমিটিতে যারা এসেছে তাদের বেশিরভাগই দলে নিষ্ক্রিয় ও অতীতে বিএনপির কোনো পদপদবিতে ছিলেন না। এছাড়াও কমিটির ৪৩ নম্বর সদস্য মোহাম্মদ মুছা ও ৪৪ নম্বর সদস্য নুরুল আলম দুজনই ৭ ওয়ার্ড ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার দুজনই কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। এছাড়াও সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনউদ্দিন জাহেদ মাদক মামলার আসামি। ২০১৮ সালে ৩শ’ পিস ইয়াবাসহ ঢাকা মহানগরের পল্টন থানা পুলিশ মাঈনউদ্দিন জাহেদকে গ্রেফতার করেছিল। পল্টন থানার মামলা নম্বর- ১৬/১৮। এর আগে ২০০৫ সালে নগরের লালদীঘি পাড় এলাকা থেকে তাকে হেরোইনসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।
নবগঠিত সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মৃত নুরুল আলমের মেয়ে সানজিদা ইসরাত বাংলানিউজকে বলেন, আমার আব্বা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন । গত ১৪ জানুয়ারি আমার আব্বা মৃত্যুবরণ করেছেন।
মাদক মামলার আসামি বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনউদ্দিন জাহেদ। তিনি বলেন, পল্টন থানায় গিয়েছিলাম ছোটভাইকে ছাড়িয়ে আনতে। পরে আমি বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি জানার পরে আমাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়েছিলেন।
কমিটিতে মৃত ব্যক্তিকে রাখার বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, কমিটি নিয়ে দুই বছর যাবত কাজ চলছিল। হয়তো মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে, সেটা এখনো আমি নিশ্চিত নয়।
কমিটিতে মাদক মামলার আসামি রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, সবার চারিত্রিক সনদ নিয়ে কমিটি দিতে পারি না। জাহেদ আমাদের ছাত্রনেতা ছিলেন, পরে কী হয়েছে সেটা আমি জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমআই/টিসি