ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ থাকবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ থাকবে

চট্টগ্রাম: শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প শ্রমিকদের গণটিকাদান অনুষ্ঠানের বক্তারা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নাসিরাবাদের আরডিএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনি গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকদের করোনা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তারা এ মন্তব্য করেন।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বিশেষ অতিথি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩ এর সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান, পিপিএম(সেবা), কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর চট্টগ্রামের ডিআইজি আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত।

উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), এম. আহসানুল হক, মো. হাসান (জ্যাকি), মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি  এস.এম. আবু তৈয়ব, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, সাবেক পরিচালক শেখ সাদী, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক প্রমুখ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছিল। শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রণোদনা ঋণ সহায়তা পোশাক শিল্পকে সাহায্য করেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বিদেশি ক্রেতা কর্তৃক রফতানি আদেশ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।  

তিন বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ ছাড়া কারখানা চলবে না, কারখানা না চললে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির অর্জন সম্ভব নয়।  

পোশাক শিল্প শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গণটিকা প্রদানে বিজিএমইএর অনুরোধের প্রেক্ষিতে টিকা কার্যক্রম শুরু করার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য পোশাক শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর  বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা হয়। এতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নেটের অংশ হিসেবে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের গণটিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কারণ শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ থাকবে।  

পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিল্প মালিকদের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।  

চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষে বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এস.এম. আবু তৈয়ব ও শ্রমিকদের পক্ষে ইউনি গার্মেন্টস  লিমিটেডের শ্রমিক  সুজিতা দত্ত বক্তব্য দেন।

ইপিজেড সহ বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত চট্টগ্রামের ৩৫০টি খোলা পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে গণটিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ইউনি গার্মেন্টসসহ ১২টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার শ্রমিককে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।