চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশ ও পরামর্শ অনুযায়ী বুধবার (৪ আগস্ট) মশা মারতে মাসব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে চসিক। নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি প্রতিদিন ৪টি ওয়ার্ডে ১০০ জন মশকনিধন কর্মী ওষুধ ছিটাবেন।
শুলকবহর ওয়ার্ডের বিপ্লব উদ্যানে মশা মারার বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
পদ্ধতিগত ও গুণগত পরিবর্তনের ফলে এবারের মশা মারার কর্মসূচি সফল হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, নগরে মশক নিধন একটি প্রধান সেবামূলক কার্যক্রম। এতদিন যে পদ্ধতিতে যে ওষুধ ছিটিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল তাতে নানা ধরনের ক্রটি ও অসঙ্গতি ছিল। ব্যবহৃত ওষুধও অকার্যকর ছিল।
তিনি বলেন, প্রায়ই দেখা যায় নির্মাণাধীন ভবনে জমাট পানি যত্রতত্র পড়ে থাকে এবং এখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তাই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকরা জমাট পানি না সরালে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. এসরারুল হক, নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, কাজী নুরুল আমিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছিদ্দিক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী।
মেয়র বলেন, মশা প্রজননের উৎস হলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। এসব বারবার পরিষ্কার করার পরও আবার আবর্জনার ভাগাড় তৈরি হয়। নালা-নদর্মায় আবর্জনা ফেলা হয়। এসবের জন্য দায়ী অসচেতন নগরবাসী। তাদের এ দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য।
তিনি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জমাট পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা ছড়ায়। তাই নিজের বাড়ির আঙিনায় যেখানে জমাট পানি আছে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২১
এআর/টিসি
