ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। আবহাওয়া অফিস অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ অনেক জায়গায় মাঝারি বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে।

 

রাতের বৃষ্টিতে শনিবার (১৯ জুন) সকালে নগরের ষোলশহর, কাপাসগোলা, চাক্তাই, বাকলিয়া, ডিসি রোড, রহমতগঞ্জ, হালিশহর, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। ডিসি রোডে হাঁটুসমান পানি ওঠে।

নগরের রহমতগঞ্জে পানি ওঠে কোমরসমান। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,  দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১২-১৮ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকাসহ ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে সৃজন চৌধুরী নামে এক পথচারী বলেন, অফিসগামী মানুষ পানি মাড়িয়ে যেতে না পারায় বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স থেকে ২নম্বর গেইট পর্যন্ত রিক্সা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।  

ডিসি রোডের বাসিন্দা মুরাদ হাসান বলেন, ডিসি রোড ও বাসার আঙিনায় এক হাঁটু পানি উঠেছে। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিও বাড়ে। নালা ও খালে প্রতিবন্ধকতা থাকায় এই পানি উঠেছে।
 
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে তিন ফুট প্রস্থের নালা পরিস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয় চসিক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ জন্য বরাদ্দ দেয় তিন কোটি টাকা। প্রতি ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ ৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা। কার্যাদেশ অনুযায়ী, নালা থেকে মাটি ও বর্জ্য পরিষ্কার করে ভাগাড়ে সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। ঠিকাদাররা শ্রমিক দিয়ে নালা থেকে মাটি উত্তোলন করে নালার পাশেই ফেলে রাখছে। ফলে নালার মাটি নালাতেই যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।