ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনএল সেনের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক স্থাপনের ঘোষণা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
এনএল সেনের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক স্থাপনের ঘোষণা  বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত

চট্টগ্রাম: বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের এনএল সেনের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।  

শুক্রবার (১৮ জুন) স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি পরিদর্শনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানে মি. মোকাররম ও মি. কাজল, ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরী, সুনীল চন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
 

রানা দাশগুপ্ত বলেন, এ বাড়িটি এমএল সেনের বাড়ি নামে সমধিক পরিচিত। এখানে প্রায় দুইশ’ বছরের শিক্ষা, ইতিহাস, ঐতিহ্য আছে। তবে সব ঐতিহ্য ছাপিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে এসে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আবার তারা ভারতবর্ষসহ নানা জায়গায় চলেও যান। মে মাসের শেষ বা জুনের প্রথম দিকে শরণার্থীরা চলে যাওয়ার পর তখন এটি মুক্তিযোদ্ধাদের কেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হয়েছিল। এখানেই বসে বোয়ালখালীর নানা জায়গায় অপারেশন করেছিলেন পাকিস্তানি হানাদার দখলদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে।  

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে জনাব মান্নান সাহেব এলাকার জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি প্রথম এ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন। পরে দক্ষিণ জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের এক্সিট পয়েন্ট ছিল এটি। শেষের দিকে ক্যাপ্টেন করিম এ বাড়িতে বসেই মুুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করেছেন। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সহযোগীদের নিয়ে আত্মসমর্পণের সম্ভবত এক সপ্তাহ আগে অপারেশন চালাতে গিয়ে ক্যাপ্টেন করিম নিহত হয়েছিলেন। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা, তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পূর্ণেন্দু কানুনগো, যিনি কমরেড সেলিম পরিচিত ছিলেন তিনি এক দিন আশ্রয় নিয়েছিলেন এ বাড়িতে। আমরা সবাই মিলে এ বাড়িতে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সহযোগিতা করবেন। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে এক মাসের মধ্যে এ ফলক উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  

আমরা মনে করি, সব জায়গায় স্মৃতিফলক স্থাপনের জন্য সরকারের ওপর নির্ভর করলে হবে না। গোটা গ্রাম বাংলায় যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ হয়েছে, যেখানে ঘাঁটি করেছেন এ রকম হাজারো লাখো স্থান আছে। এসব জায়গায় এভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো রক্ষা করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে। এ উদ্যোগে সচেতন জাতি গড়বে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।