চট্টগ্রাম: মধ্যরাতে মেঘের গর্জন, বজ্রপাত, অতিভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল উপেক্ষা করে তিন শতাধিক নৌকা মা মাছের ডিম সংগ্রহে নেমেছে হালদায়। রাত দুইটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো নৌকা ২ বালতি, কোনো নৌকা ৪-৫ বালতি ডিম পেয়েছে এবার।
বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ ডিমসংগ্রহকারীরা রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে সরকারি হ্যাচারি, মাটি ও সিমেন্টের কুয়ায় এসব ডিম থেকে রেনু ফোটাবেন। এ কাজে সময় লাগবে চার দিন।
ডিম ছাড়ার পর ক্লান্ত মা মাছগুলো যাতে কেউ শিকার করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে।
হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বাংলানিউজকে জানান, আমরা হালদা নদীতে মা মাছের ডিম সংগ্রহ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছি৷ রাত দুইটা থেকে ডিম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এবার ভারী বৃষ্টিসহ ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ নৌকা ডিম সংগ্রহে নেমেছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পরিমাণে ডিম সংগ্রহ হয়েছে এবার। স্থানীয়রা খুশি, আমরাও খুশি।
গড়দুয়ারার ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন জানান, সারা বছর এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করি আমরা। ভালো ডিম সংগ্রহ হয়েছে এবার। চার দিন পর রেণু ফুটবে। নিবিড় পরিচর্যা করতে হবে এখন। তারপর নির্দিষ্ট সময় শেষে পোনা বিক্রি হবে।
এআর/টিসি