ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে শতভাগ আবাসনসহ ৭ দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৩, মে ১৯, ২০২৫
চবিতে শতভাগ আবাসনসহ ৭ দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: আবাসন সংকট নিরসনসহ ৭ দফা দাবিতে প্রায় একদশক পর সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবির।

সোমবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার, কাটাপাহাড় সড়ক হয়ে চবির জিরো পয়েন্টে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ, চাকসু নির্বাচন দেওয়া ও ফ্যাসিবাদীদের বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে বিক্ষোভ করে সংগঠনটি।

বিক্ষোভ সমাবেশে চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিদ্রুত প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়ে আমাদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

সেশন জটের কারণে অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ছে।  

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। যারা আমার ভাই মুজাহিদ, মাসুদদের কুপিয়ে, মামুনকে জবাই করে এবং জোবায়েরকে গুলি করে হত্যা করেছিলো তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। অতিদ্রুত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ক্যাম্পাস থেকে বের করতে হবে।

চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, চবি শিবিরের সাত দফা প্রতিটি চবিয়ানের প্রাণের দাবি। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা ভেবেছিলাম জুলাইয়ের পর আসা প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকারগুলো পূরণ করবে, কিন্তু তারা কিছু কাজ করলেও অনেককিছুই পূরণ করেনি। আমরা এতদিন দেখেছি, এখন আর বসে থাকব না।

এসময় তিনি চবি ছাত্রশিবিরের সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হল- শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান। সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করা। অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন। দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুননির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার। জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা। বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা।

এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং চবি শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক খলীল আনোয়ার।

এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।