ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

লোককবিদের সৃষ্টি বাঙালিকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
লোককবিদের সৃষ্টি বাঙালিকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে ...

চট্টগ্রাম: বাঙালির যে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি এবং এর যে একটি শক্ত ভিত রয়েছে তা অনেকের অজানা উল্লেখ করে বরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, বাংলা সাহিত্য ও কবিতার ভিত্তিমূল অনেক পুরোনো। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে এ মাটি থেকে জন্ম নিয়েছে অনেক শক্তিশালী কবি-সাহিত্যিক, লোককবি ও গীতিকবি।

যাঁদের কবিতা ও গান বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।  

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আবৃত্তি ও বাচিক চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিনের লোকায়ত আবৃত্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উচ্চারকের সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিসেবী মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ক্রীড়াবিদ ও কবি রেহানা পারভীন। স্বাগত বক্তব্য দেন উচ্চারকের শুভানুধ্যায়ী পরিষদের সদস্য বাউলতাত্ত্বিক স্বপন মজুমদার।

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতি রুগণ হয়ে পড়লে রাজনীতিও  বিকল হয়ে পড়ে। রাজনীতি ও সংস্কৃতি যদি পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে না চলে, তাহলে সে দেশ ও জাতির সমূহ বিপদ দেখা দেয়। তাই বর্তমান সরকার বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা ও পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আমাদের পুরোনো কবিতা ও সাহিত্য-সংস্কৃতির দিকেও যত্নবান হতে হবে। অতীতকে গুরুত্ব না দিয়ে কেবল ভবিষ্যতের দিকে ছুটলে হবে না।  

রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের যে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে, তার গুরুত্ব বুঝতে হলে পুরোনো ভাষা-সাহিত্যের রূপবৈচিত্র্য ও পরিবর্তনের ধারাকেও বুঝতে হবে, জানতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধু তাঁর সামগ্রিক জীবন চর্চায় ইতিহাসকে, ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন।  

উচ্চারকের সহসভাপতি এএসএম এরফান ও মৌসুমী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উচ্চারক শুভানুধ্যায়ী সম্মাননা গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, নাটক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিমেল ইসহাক, কবি শহীদ মিয়া বাহার, কবি রেহানা পারভীন, কবি ও বাউল গবেষক স্বপন মজুমদার, সংস্কৃতিকর্মী ও লেখক সজল চৌধুরী, শিল্পোদ্যোক্তা আশেক ইবনে ছাফা ও তানসির তাইমুর মোরশেদ। উৎসবে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন বরিশালের আগামী সাহিত্য সংগঠনের পাপিয়া জেসমিন, রতন দাস বাপী, নেজারুল ইসলাম বাবু, শিউলি সাহা, বাদল বিশ্বস, প্রকাশ রায় ও রিনা পারভীন। সিলেটের লোক কবিতা ও গান পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সুকান্ত গুপ্ত, স্রোতস্বিনী স্নেহা, পল্লবী দাশ ও অর্চিতা সাহা। ময়মনসিংহের লোক কবিতা আবৃাত্ত করেন আফতাব আহমেদ মাহবুব, মো. আসাদুজ্জামান, ইসহাক আলী ও রোকেয়া নাসরিন। চর্যাপদের গান পরিবেশন করেন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের শিল্পী মো. মোস্তফা কামাল, ফারুক তাহের, মৌসুমী চক্রবর্তী, এএসএম এরফান, শামীমা ইয়াছমিন, শাহ হোসাইন, দীপা দাস, পুনম দত্ত, সানজিদা রহমান,  হামিদ উদ্দিন।

একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মিলি চৌধুরী, মাসুম আজিজুল বাসার, ঝর্ণা আলমগীর, মিসবাহ রাবিন, মুনা চৌধুরী, মশরুর হোসেন, শাহরিয়ার তানজিম, আল ইমরান, জেবুন নাহার শারমিন, বর্ষা চৌধুরী, শ্রাবণী দাশ, উমেচিং মারমা, প্রতিভা ত্রিপুরা, মাহফুজা হক স্নিগ্ধা। বাউল গান পরিবেশন করেন ড. হানিফ বাউল। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি মালেক মোস্তাকিম, শহীদ মিয়া বাহার। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে উচ্চারক শিশু কুঞ্জের শিল্পীরা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বিকাল ৩টায় প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তিশিল্পী সুমন্ত্র সেনগুপ্ত ও অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।