চট্টগ্রাম: হাতে রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, গায়ে জড়ানো বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট। মুহুর্মুহু স্লোগান আর একসঙ্গে ছুটে চলা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগ দিতে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। প্রতিটি সড়কই যেন লোকে লোকারণ্য। জনসভায় যোগ দিতে নগরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা থেকে এসেছেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি উপজেলার জন্য রাখা রয়েছে আলাদা রঙের ড্রেস কোড।
সন্দ্বীপ থেকে জনসভায় যোগ দিতে আসা এক কর্মী জানান, আমরা সন্দ্বীপ থেকে ভোরে এসে পৌঁছেছি। গতকাল মধ্যরাতে রওনা দিয়েছিলাম চট্টগ্রাম আসার উদ্দেশ্য। একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পারবো, এর চেয়ে সুখের আর কি হতে পারে।
সন্দ্বীপ আসনের এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ দশ বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে এসেছেন। সন্দ্বীপের ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী ৫০টি ট্রলার ও দুইটি লঞ্চযোগে চট্টগ্রামে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী অবহেলিত সন্দ্বীপের উন্নয়ন করে সমৃদ্ধ করেছে। নেতাকর্মীদের যাতে সমস্যা না হয় তাই সবার জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলে দেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানী মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে যোগ দেওয়ার সুবিধার্থে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ বলছে, সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সমাবেশস্থলসহ আশপাশে এলাকায় দায়িত্বরত রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশও নিয়োজিত রয়েছে। আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এমআই/এমআর/টিসি